বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, কৃষি, কূটনৈতিকসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে সম্পর্ক আরো জোরদারে বৃহস্পতিবার ৫টি চুক্তি, ২টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ), আগ্রহপত্র ও প্রটোকল সই হয়েছে।
চুক্তি ৩টি হলো দুই দেশের পারস্পরিক বিনিয়োগ সুরক্ষা ও বাণিজ্য বৃদ্ধি, বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে শুল্ক সম্পর্কিত সহযোগিতা এবং কূটনৈতিক, দাপ্তরিক ও বিশেষ পাসপোর্টে ভিসামুক্ত যাতায়াত।
সমঝোতা স্মারক দুটি হলো: কৃষিখাতে বৈজ্ঞানিক ও কারিগরি সহযোগিতা এবং সাংস্কৃতিক, বৈজ্ঞানিক ও শিক্ষাক্ষেত্রে বিনিময় কর্মসূচি বিষয়ক।
দুদেশের মধ্যে সই করা একটি আগ্রহপত্রের অধীনে বাংলাদেশের মতো একটি উন্নয়নশীল দেশে তুরস্ক জাতিসংঘের সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল জুট স্টাডি গ্রুপে (আইজেএসজি) যোগ দেবে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশে থাকা জাতিসংঘের এ সংস্থাটিতে সদস্য হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করলো তুরস্ক।
এছাড়া তুরস্কের পবিত্র শহর কোনিয়া এবং বাংলাদেশের হজরত শাহজালাল (রা.) মাজারের শহর সিলেটের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগের ওপর এ প্রটোকলটি সই হয়। এর মাধ্যমে কোনিয়া ও সিলেট ‘টুইন সিটি’ (জমজ শহর) হিসেবে পরিচিতি পাবে। কোনিয়া মুসলিম দার্শনিক মাওলানা জালালুদ্দিন রুমির শহর।
এ সব চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষে শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া, সিলেটের মেয়র বদরুদ্দিন আহমেদ কামরান এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপুমনি স্বাক্ষর করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী রিসিফ তাইপ এরদোগান চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করেন।
শেখ হাসিনা ও রেসেপ তাইয়েপ এরদোগানের আনুষ্ঠানিক বৈঠকের পর এ চুক্তিগুলো সই হয়। তুরস্কের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টার দিকে এই চুক্তি সই হয়। চুক্তি সইয়ের পর দুই প্রধানমন্ত্রী যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।