জাতীয় সংসদের স্পিকার ও ১৩৬তম ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) সম্মেলনের সভাপতি ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, ১৩৬তম আইপিইউ সম্মেলন আয়োজনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় বাংলাদেশ বিশ্ব সম্প্রদায়ের আস্থা আর্জন করেছে।
বুধবার বিকেলে ৫ দিনব্যাপী আইপিইউ’র ১৩৬তম সম্মেলন শেষে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
বৈশ্বিক অসমতা দূরীকরণ, সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিতকরণ ও স্বাধীন কোন দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করাসহ কয়েকটি প্রস্তাবনা গ্রহণ করে ঢাকা ঘোষণার মধ্যদিয়ে শেষ হয়েছে। আইপিইউ সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী, মহাসচিব মার্টিন চুংগং, ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া, চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি এসোসিয়েশনের (সিপিএ) সভাপতি শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সাহসী ও গতিশীল নেতৃত্বের মাধ্যমে বিশ্বের মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিতে পেরেছেন বলেই এতো বড় একটি অনুষ্ঠানের সফল আয়োজন সম্ভব হয়েছে। যে অনুষ্ঠানে বিশ্বের ১৩২টি দেশের ১ হাজার ৩৪৮জন আইপিইউ সদস্য অংশগ্রহণ করেছেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সম্মেলন কেন্দ্রের পাশেই আইপিইউ মেলার আয়োজনের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশকে উপস্থাপন করতে পেরেছি। এটাও আইপিইউ সম্মেলন থেকে বাংলাদেশের একটি প্রাপ্তি।’ তিনি বলেন, নারীর ক্ষমতায়ন, লিঙ্গ সমতা, স্বাস্থ্য ও শিক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ৫ দিনব্যাপী আইপিইউ সম্মেলনে আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, আইপিইউ সদস্য দেশের প্রতিনিধিরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ বলেছেন, বাংলাদেশ শুধু উন্নয়নের রোল মডেলই নয়, বাংলাদেশ সংসদীয় গণতন্ত্রেরও মডেল।
আইপিইউ সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ সফলভাবে এই সম্মেলনের আয়োজন করে প্রমাণ করেছে বিশ্ব নেতৃবৃন্দেও সমন্বয়ে এধরনের বৃহৎ অনুষ্ঠান আয়োজনে বাংলাদেশ সক্ষম। তিনি বলেন, সহিংসতা ও অসমতা নিরসনে যেসব উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এ জন্য আইপিইউ’র ইতিহাসে এই সম্মেলন একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।