বাংলাদেশের এক অহংকারের নাম সনজীদা খাতুন

বাংলাদেশের এক অহংকারের নাম সনজীদা খাতুন

বাংলাদেশে শ্রদ্ধার সঙ্গে উচ্চারিত এক নাম সনজীদা খাতুন। আজ তার পঁচাশিতম জন্মদিন। বাংলাদেশের অহংকার তিনি।

বাঙালি সংস্কৃতি ও বাঙালিত্বের বোধ সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে, বাঙালি সংস্কৃতিকে বিকশিত করার ক্ষেত্রে তিনি যে অবদান রেখে চলেছেন তার তুলনা মেলা ভার।

বাঙালির সাংস্কৃতিক আন্দোলন-সংগ্রামের পুরোধা, বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী, গবেষক ও ছায়ানটের সভাপতি সনজীদা খাতুনের ৮৫তম জন্মদিন আজ। ঘরোয়াভাবে পালিত হবে তার জন্মদিন। এবারও দিনটি ঘিরে তার তেমন উচ্ছ্বাস নেই। তবে এই দিনটি উদ্বেলিত করে তার ভক্ত-অনুরাগীদের।

তিনি ১৯৬১ সালে জন্মকাল থেকে ‘ছায়ানট’ সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত। ১৯৭২ সাল থেকে অদ্যাবধি ‘ছায়ানট সঙ্গীতবিদ্যায়তন’-এর অধ্যক্ষ। ২০০১ সাল থেকে ‘ছায়ানট’-এর সভাপতি। ১৯৮১ সালে প্রতিষ্ঠিত ‘জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ’ -এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। এছাড়াও ‘নালন্দা’ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তিনি। তার বেশকিছু রবীন্দ্রনাথের অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে।

সনজীদা খাতুন ১৯৩৩ সালের ৪ এপ্রিল ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা বাংলাদেশের জাতীয় অধ্যাপক কাজী মোতাহার হোসেন। মাতা সাজেদা খাতুন। তিনি ১৯৫৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে বিএ অনার্স করেন। ১৯৫৫ সালে বিশ্বভারতী থেকে বাংলা ভাষা সাহিত্যে প্রথম শ্রেণিতে এমএ পাস করেন। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৮ সালে তিনি ‘রবীন্দ্রসঙ্গীতের ভাবসম্পদ’ গবেষণাপত্রে পিএইচডি লাভ করেন। পরে ১৯৮৩-১৯৮৫ সাল পর্যন্ত পিএইচডি উত্তর গবেষণা করেন। সনজীদা খাতুন ১৯৫৭ সালে ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ে অধ্যাপনা শুরু করেন। ১৯৯৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে প্রফেসর হিসেবে অবসরগ্রহণ।

বাংলাদেশ