মার্চে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩৬২

মার্চে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩৬২

সড়ক দুর্ঘটনায় গত মার্চ মাসে গড়ে নিহত ১২ ও আহত হয়েছেন ২৮ জন। ওই সময়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে গড়ে ১১টি। ১ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত সারাদেশে বিভিন্ন মহাসড়ক, জাতীয় সড়ক, আন্তঃজেলা সড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে এসব প্রাণঘাতি দুর্ঘটনা ঘটে।

বেসরকারি সংগঠন নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি তাদের নিয়মিত মাসিক পরিসংখ্যান ও পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরে।২০টি জাতীয় দৈনিক, ১০টি আঞ্চলিক সংবাদপত্র এবং আটটি অনলাইন নিউজপোর্টাল ও সংবাদ সংস্থার তথ্য-উপাত্তের ওপর ভিত্তি করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।শনিবার সংগঠনের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্চে ৩৩০টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে ৪৯ নারী ও ৫৪ শিশুসহ কমপক্ষে ৩৬২ জনের প্রাণহানি হয়েছে।এসব দুর্ঘটনায় আহত হন ৮৬৫ জন

ফেব্রুয়ারিতে সারাদেশে ৩৭২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৬ নারী ও ৫৮ শিশুসহ মোট ৪২৭ জন নিহত এবং এক হাজার ৯৪ জন আহত হয়েছেন। ওই সময়ে গড়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে ১৩টি, যেখানে নিহত ও আহতের গড় সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ১৫ ও ৪৬। দুর্ঘটনা ও হতাহতের এই সংখ্যা চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির তুলনায় সামান্য কম বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

পর্যালোচনায় দেখা যায়, ফেব্রুয়ারির তুলনায় মার্চে সড়ক দুর্ঘটনার হার ১১ দশমিক ৩০ শতাংশ কমেছে। একই সময়ে নিহত ও আহতের হার কমেছে যথাক্রমে ১৫ দশমিক ২৩ ও ২০ দশমিক ৯৪ শতাংশ।

পর্যবেক্ষণে পাওয়া তথ্য মতে, গত মাসে প্রথম দফায় খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় টানা তিন দিন ও দ্বিতীয় দফায় খুলনা বিভাগসহ সারাদেশে আরও তিন দিন সড়ক পরিবহন শ্রমিকদের ধর্মঘটের কারণে দুর্ঘটনা ও হতাহতের সংখ্যা পূর্ববর্তী মাসের তুলনায় কমেছে। এরপর মার্চে একাধিক বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা ও ময়মনসিংহের দুটি পৃথক দুর্ঘটনায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ নিহত হন, যাদের অধিকাংশই ছিলেন দিনমজুর ও হতদরিদ্র।

সংগঠনটির জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে বলেন, গত দুই মাসে সংঘটিত অধিকাংশ প্রাণঘাতি দুর্ঘটনার জন্য চালকদের খামখেয়ালিপনা দায়ী। আইন ভঙ্গ করে পণ্যবাহী ট্রাকে ও বাসের ছাদে যাত্রী বহনসহ তাদের অসতর্কতার কারণে এতো মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

বাংলাদেশ