প্রশ্নপত্র ফাঁসকারী চক্রের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রশ্ন সংগ্রহের চেষ্টা করলে পরীক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে মন্ত্রণালয়।
ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে শনিবার দুপুর ১টায় প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের দুই সদস্যকে আটকের পর সংবাদ সম্মেলনে এমনটি জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি-ডিএমপি) উপ-কমিশনার (উত্তর) শেখ নাজমুল আলম।
এর আগে রাজধানীর মগবাজার এলাকা থেকে ‘ভুয়া’প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের উত্তর জোন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো. শহিদুল ইসলাম (১৮) ও মো. গোলাম সরোয়ার সাজিদ (১৮)।
তিনি বলেন, মগবাজারের নয়াটোলা মোড় থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা এসএসসি, এইচএসসি-২০১৭ ও মেসেঞ্জারে এইচএসসি- ২০১৭ এর অ্যাডমিন। গোলাম সরোয়ার সাজিদ মেসেঞ্জারে হ্যালো ব্রাদার্স গ্রুপের অ্যাডমিন হিসাবে বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে শতভাগ প্রশ্ন কমন দিবে মর্মে স্ট্যাটাস দিত। এছাড়াও তারা একেক পরীক্ষার জন্য একেক মেসেঞ্জার গ্রুপ খুলে ভুয়া প্রশ্ন শেয়ার করত।
চক্রটি টেলিগ্রাম অ্যাপস ব্যবহার করে প্রশ্নপত্র ফাঁসের পরিকল্পনা করছিলো। শেষ পর্যন্ত তা না পারলে নিজেরা প্রশ্নপত্র তৈরি করে ছড়িয়ে দেয়।
শেখ নাজমুল আলম বলেন, গ্রেফতারকৃতরা তাদের ব্যবহৃত মোবাইল দিয়ে আইটি ডিভাইস ব্যবহার করে বিভিন্ন নামে ফেসবুকে ফেইক আইডি, ফেসবুক মেসেঞ্জার গ্রুপ, হোয়াটস আ্যাপের মাধ্যমে ঢাকার বিভিন্ন কলেজের শিক্ষকদের কাছ হতে ভুয়া প্রশ্নপত্র সরবরাহ করে অবৈধভাবে অর্থ সংগ্রহ করে আসছিল।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ডিবির ডিসি মো. সাজ্জাদুর রহমান, ডিসি খোন্দকার নুরুননবী, ডিএমপির ডিসি (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান ছাড়াও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।