স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল দেশের সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের সহযোগিতায় জঙ্গি আস্তানাগুলো গুড়িয়ে দেয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
সারা বিশ্বে সন্ত্রাস ও জঙ্গি হামলা চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন,‘আমাদের আইন-শৃংখলা বাহিনীর চৌকস সদস্যরা দেশের প্রত্যেকটি জঙ্গি আস্তানা চিহ্নিত করে জঙ্গিদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড নির্মূল করবে।’
স্বরাষ্ট্্রমন্ত্রী শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বেইলী রোডে মহিলা সমিতি মিলনায়তনে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মহান মুক্তিযুদ্ধে স্মরণীয় অবদান রাখা ‘বীর নারীদের’ সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
‘একাত্তর ফাউন্ডেশন’ এ অনুষ্ঠনের আয়োজন করে। সংস্থাটি কয়েক-বছর ধরে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্রত্যেক বছরের মার্চ মাসে মুক্তিযুদ্ধে নারী মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের জন্য সম্মাননা ও ক্রেস্ট প্রদান করে আসছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে সাবেক ডেপুটি স্পিকার কর্নেল (অব.) শওকত আলী এমপি, জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান মমতাজ বেগম , সমাজকর্মী ও রাজনীতিক মাজেদা শওকত আলী এবংও তানিয়া রহমান বখত বক্তৃতা করেন।
এতে সভাপতিত্ব করেন একাত্তর ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ডা. খালেদ শওকত আলী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ড. জেবুন্নাহার।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা পরাজিত হয়েছে’ তারাই পঁচাত্তর, কখনো বা শিবির, কখনো জেএমবি, কখনো নিউ জেএমবি, কখনো হরকাতুল জিহাদ (হুজি), কখনো আনসারুল্লা বাংলা টিম, আবার কখনো আনসার-আল ইসলাম নামে আবির্ভূত হয়ে ‘আমাদের পরাভূত করার চেষ্টা করছে’।
তিনি এসব ঘটনাচক্রকে দেশী ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের মূলৎপাটনে কোন রকম ছাড় দেয়া হবে না। দেশের স্বার্থে আমাদের গোয়েন্দা সদস্যদের তথ্যের ভিত্তিতে নিরাপত্তা বাহিনী জঙ্গি আস্তানা খুঁজে বের করে গুড়িয়ে দেবে। তিনি আরো বলেন, ইতোমধ্যেই জঙ্গি দমন করতে গিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর কয়েকজন চৌকস অফিসার নিহত হয়েছেন।
অনুষ্ঠানে ১১ জন বীর নারীকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। যারা এই ক্রেস্ট পেলেন তারা হচ্ছেন, বেগম আইভি রহমান (মরণোত্তর,বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধেও সংগঠক), নোরা শরিফ (মরণোত্তর- বৃটিশ নাগরিক), তারামন বিবি (বীর প্রতীক), নূরজাহান কাকন বিবি (মুক্তিযোদ্ধা), জ্ঞানো বালা বর্মণী (মুক্তিযোদ্ধা), জিনাত সুলতানা আঁখি (স্বাস্থ্যকর্মী), সৈয়দা ওবায়দুন নাহার (মুক্তিযোদ্ধা), শাহীন সামাদ (স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী), বুলবুল মহালনবীশ (কন্ঠ সৈনিক ও মুক্তিযোদ্ধা), যোগমায়া মালো (মুক্তিযোদ্ধা) ও ডা. সারাহ বানু শুচি (মুক্তিযোদ্ধা)।