সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ঠিক নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি মোস্তাফিজ। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বাজে দিন গেছে তার। তিন স্পেলে মোট আট ওভার বল করে ৭.৫০ গড়ে দিয়েছেন ৬০ রান। তাই শেষ ওয়ানডেতে নামার আগে কোচ হাথুরুসিংহে ও ওয়ালশের আলাদা ক্লাসে দেখা মিললো কাটার মাস্টার মোস্তাফিজের।
এর আগে ক্রাইস্টচার্চে নিউজিল্যান্ড সফরের প্রথম ওয়ানডেতে ১০ ওভার বল করে ৬২ রান দিয়েছিলেন মোস্তাফিজ। ওয়ানডের কোন ম্যাচে মোস্তাফিজের সবচেয়ে বেশি রান দেওয়ার রেকর্ডও এতদিন ছিল ঐটাই। এছাড়া আগের ১২ ওয়ানডেতে ওভারপ্রতি ছয়ের বেশি রান দিয়েছেন মাত্র দুবার। তবে কখনোই সেটি সাতে পৌঁছায়নি। আর এ ম্যাচে সাত ছাড়িয়ে গেছে।
এদিকে শুধু ওভারপ্রতি রানের গড় বেশিই না, দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি বাউন্ডারিও যে হজম করতে হয়েছে কাটার মাস্টারকে। সাত বাউন্ডারি আর এক ছক্কা মিলিয়ে মোট আটবার তার বল মাঠের বাইরে পাঠিয়েছেন শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যানরা।
সিরিজের শেষ ম্যাচ জিততে মোস্তাফিজকে ঠিকই জ্বলে উঠতে হবে মোস্তাফিজকে। এটাই সবার চাওয়া। তাই টাইগারদের প্রধান কোচ হাথুরুসিংহে ও বোলিং কোচ ওয়ালশের অধীনে ঐচ্ছিক দিনেও বল করতে দেখা গেল মোস্তাফিজকে। আগের সেই স্লোয়ার, অন কাটার, অফ কাটার ফিরে পেতে নিজেকে ঝালিয়ে নিচ্ছেন বাংলাদেশের বিস্ময় এই বালক।
এদিকে ঐচ্ছিক অনুশীলনে মাশরাফি-সাকিবরা যোগ না দিলেও ঠিক মাঠে গেছেন মুশফিক। মাঠে হাজির হয়েই যথারীতি প্রথমে ব্যাট হাতে অনুশীলনে নেমে পড়েন মুশফিকুর রহীম। বেশ কিছুক্ষণ ব্যাটিং অনুশীলন করার পর উইকেটকিপিং অনুশীলনও করেন টাইগার এই তারকা।
মুশফিক-মোস্তাফিজ ছাড়াও সৌম্যও অনুশীলন করতে এসেছেন। এছাড়া প্রথম দুই ওয়ানডে মাঠে না নামা রুবেল, শুভাশিস, সানজামুল, শুভাগত হোম, নুরুল হাসান সোহান ও ইমরুল কায়েস ঐচ্ছিক অনুশীলনে মাঠে ছিলেন।