ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া শুরু করল ব্রিটেন

ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া শুরু করল ব্রিটেন

ব্রিটেন আজ বুধবার থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এর ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়নে ব্রিটেনের ৪৪ বছরের সদস্যপদের অবসান ঘটতে যাচ্ছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নকে এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে। এই চিঠি দেয়ার মাধ্যমে ব্রেক্সিট বলে পরিচিতি পাওয়ার ব্রিটেনের ইইউ ত্যাগের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু করলেন প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে।
ব্রাসেলসে ব্রিটেনের দূত স্যার টিম ব্যারো ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্কের কাছে কিছুক্ষণ আগে এই চিঠি হন্তান্তর করেন।
প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে বলেন, ব্রিটেন আশা করে ইইউর প্রতিবেশী ও ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে তাদের সঙ্গে ব্রিটেনের একটি বিশেষ সম্পর্ক সবসময়ে থাকবে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে এর আগে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বিদায় বা ব্রেক্সিটের প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য ইইউ-র উদ্দেশ্যে লেখা চিঠিটিতে স্বাক্ষর করেন।
টেরেসা মে-র স্বাক্ষরিত চিঠিটি ডোনাল্ড টাস্কের কাছে হন্তান্তর করার পরই এই বিচ্ছেদের শর্তাবলী নিয়ে দুই বছরব্যাপী দেনদরবারের আনুষঠানিক প্রক্রিয়ার সূচনা হলো।
লিসবন চুক্তির পঞ্চাশ অনুচ্ছেদের অধীনে ইইউ কর্মকর্তাদের এই চিঠিটি দেয়া হয়।
টেরেসা মে বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এমপিদের উদ্দেশ্যে একটি বিবৃতি দেবেন, যেখানে তিনি তাদের অবহিত করবেন যে ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের বিদায়ের সময় গণনা শুরু হয়েছে।
আগাম প্রকাশকৃত তার বক্তৃতার সাংরাংশে একথা বলা হয়।
তিনি বলবেন ‘অনুচ্ছেদ ৫০-এর সূচনা হবে গোটা দেশের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার মুহূর্ত।’
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে যে, তিনি আলোচনার সময় যুক্তরাজ্যের প্রতিটি মানুষের প্রতিনিধিত্ব করবেন, যাদের মধ্যে ব্রিটেনে বসবাসরত ইইউ নাগরিকরাও রয়েছেন। ব্র্রেক্সিটের ফলে তাদের ভাগ্যে কী হবে সেটি এখনো অনিশ্চিত।
গত বছরের জুনে এক গণভোটে ব্রিটেনের ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে রায় দেয় ব্রিটিশ নাগরিকরা।
মিসেস মে তার বক্তব্যে ব্রেক্সিট ঘিরে যে বিভক্তি তৈরি হয়েছে তা থেকে উত্তরণের উপায় নিয়েও কথা বলবেন।
এদিকে বিরোধী দল লেবারের নেতা, জেরেমি করবিন বলেছেন, ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত তার দল সম্মান করে, তবে সরকারের প্রতিটি পদক্ষেপের দিকেই তারা নজর রাখবে।
পঞ্চাশ অনুচ্ছেদ দুই পক্ষকেই একটি চুক্তিতে পৌছানোর জন্য দুই বছর সময় দেবে। যদি দুই পক্ষই সময় বাড়াতে সম্মত না হয়, তবে ২০১৯ সালের ২৯শে মার্চ ইইউ থেকে বিদায় নেবে যুক্তরাজ্য।

আন্তর্জাতিক