প্রধানামন্ত্রী শেখ হাসিনা ফরিদপুর পৌঁছেছেন। বুধবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপটারটি পুলিশ লাইন মাঠে অবতরণ করে। পরে তিনি সেখান থেকে এলজিআরডি মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বাড়িতে চলে যান।
জানা গেছে, সেখানেই দুপুরের খাবার খেয়ে বিকেল ৩টায় রাজেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের মাঠে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী এ সফরে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ২০টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ১২টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
এদিকে জনসভার মঞ্চসহ উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের সকল প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানান ফরিদপুর জেলা প্রশাসক উম্মে সালমা তানজিয়া।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের অপেক্ষায় ২০টি উন্নয়ন প্রকল্প সমূহ হচ্ছে, ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ভবন, ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নবনির্মিত ভবন, কবি জসীমউদদীন সংগ্রহশালা, ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি, শিশু একাডেমি ভবন, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের উপ-মহাপরিদর্শকের কার্যালয়, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, ফরিদপুর ৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্লান্ট, সরকারি রাজেন্দ্র একাডেমিক কাম পরীক্ষা হল, কুমার নদের ওপর সেতু, ভাঙ্গা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ, আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস, বিএসআইটি ভবন, ভাঙ্গা থানা ভবন, মধুখালী ফায়ার সার্ভিস স্টেশন, সদর উপজেলায় বাখুন্ডা রসুলপুর ভায়া নিখুরদী সড়ক, সদরের ডিক্রিরচর ইউনিয়নের মুন্সীডাঙ্গি কমিউনিটি ক্লিনিক ও ৩৩/১১ কেভি হাড়োকান্দি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র।
এছাড়া নতুন ১২টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনাগুলো হলো, কুমার নদ পুনঃখনন, আলফাডাঙ্গা কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, পুলিশ অফিসার্স মেস, পুলিশ হাসপাতাল, সালথা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাডেমিক কাম প্রশাসনিক ভবন, সদরপুরের চন্দ্রপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র, সরকারি সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজের ছাত্রীনিবাস, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, ১৫০০ আসন বিশিষ্ট মাল্টিপারপাস হল, সালথা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন এবং সদরপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশন প্রকল্প।