রাজধানীর মিরপুর ও কাফরুল এলাকার সরকারি স্থাপনায় নাশকতার পরিকল্পনাকারী হিসেবে গ্রেফতার পাঁচ ‘জঙ্গি’কে দুইদিন করে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম নুর নাহার ইয়াসমিন শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ২১ মার্চ রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে দায়ের করা মামলায় তাদের বিরুদ্ধে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলা তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১০ এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) রেজাউল করিম।
এ সময় ঢাকা মহানগর হাকিম কায়সারুল ইসলাম মামলার মূল নথি না থাকায় ওই পাঁচজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একইসঙ্গে রিমান্ড শুনানির জন্য ২৮ মার্চ দিন ধার্য করেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, অলিউজ্জামান ওরফে অলি (২৮), আনোয়ারুল আলম (২৯), সালেহ আহাম্মেদ শীষ (২২), আবুল কাশেম (২৭) ও মো. মোহন ওরফে মহসিন (২০)।
২০ মার্চ রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ও উত্তর বাড্ডা থেকে ওই পাঁচজনকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে খেলনা পিস্তল, বোমা তৈরির সরঞ্জাম ও ‘উগ্রপন্থী বই’ উদ্ধার করা হয়।
পরদিন সংবাদ সম্মেলন করে র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (এডিজি-অপারেশনস) কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান দাবি করেন, ‘তাদের মিরপুর ও কাফরুল এলাকার সরকারি স্থাপনায় নাশকতার পরিকল্পনা ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘পাঁচজনের মধ্যে দু’জন প্রকৌশলী রয়েছেন। তারা সবাই একটি সেলের সদস্য। প্রায় সোয়া এক বছর তারা একত্রিত হয়ে নাশকতার পরিকল্পনা করছিলেন। তাদের সদস্য সংখ্যা ১০-১২ জন। এদের অধিকাংশই মিরপুর ও কাফরুল এলাকার বাসিন্দা।’
র্যাবের ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘এ সেলের নিয়ন্ত্রক অলিউজ্জামান ওরফে অলি। এ জঙ্গি সেল মিরপুর ও কাফরুল এলাকার একটি সরকারি স্থাপনায় নাশকতার পরিকল্পনা করেছিল। নাশকতার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তারা মনির ও সালমান ওরফে আবদুল্লাহকে দায়িত্ব দেয়। তাদের দু’জনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’
কোন সরকারি স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনা ছিল- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সুনির্দিষ্টভাবে স্থাপনার নাম বলা যাবে না। তাহলে সেখানকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করতে পারে।’
র্যাবের এডিজি আরও জানান, আসামিদের মধ্যে অলিউজ্জামান ২০১২ সালে বুয়েট থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করেন। বর্তমানে তিনি একটি বহুজাতিক কোম্পানিতে কর্মরত। ২০১৫ সালের শেষে তিনি সারোয়ার-তামিম গ্রুপে অন্তর্ভুক্ত হন।