দেড় মিনিটের ঝড়ে লণ্ডভণ্ড রংপুর

দেড় মিনিটের ঝড়ে লণ্ডভণ্ড রংপুর

মাত্র দেড় মিনিটের কালবৈশাখী ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়েছে গেছে রংপুর।

শনিবার ভোরে একসঙ্গে রংপুরের বিভিন্ন স্থানের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কালবোশেখী ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে রংপুরের আট উপজেলায় প্রায় ৪ শতাধিক ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বোরো ধান, ভুট্টা, পাটসহ গ্রীষ্মকালীন শাকসবজির।

ঝড়ের কারণে বৈদ্যুতিক খুঁটি ও গাছপালা উপড়ে পড়ায় রংপুরে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, ঝড়ের সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৮৫ কিলোমিটার।

ঝড়ে সবচেয়ে ক্ষতি হয়েছে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছ, টেপামধুপুর, শহীদবাগ, পীরগাছা উপজেলার তাম্বুলপুর ইউনিয়ন, গঙ্গাচড়া উপজেলার নুহালী ও কচুয়া ইউনিয়া, রংপুর সদরের তামপাট ও চেংরাবান্ধা ইউনিয়নে। এসব ইউনিয়নের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্ব্সন কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান জানান, ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য জেলা প্রশাসনের নির্দেশে ইউএনওদের মৌখিকভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তালিকা হাতে পেলেই তাদের পুনর্বোসনের কাজ শুরু করা হবে বলে জানান তিনি।

কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক কালীপদদাস জানান, শিলাবৃষ্টির কারণে উঠতি বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

তবে কী পরিমাণ জমির ফসলের ক্ষতি হয়েছে তা নিরূপণ না করে বলা সম্ভব হচ্ছে না। এজন্য ব্লক সুপারভাইজাররা কাজ করছেন বলে জানান তিনি।

পীরগাছার পারুল ইউনিয়নের ছেচাকান্দি গ্রামের সফরউদ্দিন খান জানান, তার পাঁচ বিভাগ জমির উঠতি বোরো সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে।

এদিকে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যুৎ বিভাগের এক আবাসিক প্রকৌশলী জানান, বিকেল ৫টার আগে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

বাংলাদেশ