স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকল্পে চিকিৎসকদের কর্মস্থলে থাকা বাধ্যতামূলক করতে কঠোর আইন করছে সরকার।
তিনি বলেন, এলক্ষ্যে বদলী নীতিমালা সংশোধনী এনে অনুপস্থিতদের বিরুদ্ধে বেতন বন্ধসহ বিভাগীয় শাস্তির পাশাপাশি শাস্তি দুর্গম অঞ্চলে কাজে উৎসাহিত করতে বিশেষ প্রণাদনার ব্যবস্থাসহ কয়েকটি পদক্ষেপ নেয়ার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছে সরকার।
আজ সচিবালয়ে দেশের সাত বিভাগের বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকদের সাথে মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্বকালে তিনি সরকারের এই অবস্থানের কথা জানান ।
উপজেলা পর্যায়ে চিকিৎসকদের উপস্থিতি নজরদারিতে বিভাগীয় পরিচালক ও সিভিল সার্জনদের তৎপর হতে নির্দেশ দিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারি হাসপাতালের উপর দেশের গরীব মানুষের আস্থা ও ভরসা এখনো বিদ্যমান। দেশের স্বাস্থ্যসেবার অর্জন আজ সারা বিশ্বে প্রশংসিত হচ্ছে। অনেক দেশ এ সেবা ব্যবস্থাপনাকে মডেল হিসাবে বিবেচনা করছে। জনগণের এই আস্থা ধরে রাখতে মাঠ পর্যায়ের নেতৃত্বকে শক্তিশালী হতে হবে।
তিনি বলেন, চিকিৎসকরা যেন হাসপাতাল থেকে মানুষকে সেবা দেন তা কঠোরভাবে মনিটরিং করার দায়িত্ব পালনে আরো সতর্ক থাকতে হবে। এজন্য আকস্মিকভাবে উপজেলা ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শনের জন্য পরিচালক ও সিভিল সার্জনদের নির্দেশ দেন তিনি।
তিনি বলেন, ২০১৪ সালে ৩৩তম বিসিএস এর মাধ্যমে ৬ হাজার চিকিৎসক নিয়োগের মাধ্যমে দেশের উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে চিকিৎসক সংকটের ব্যাপারে সমাধান সম্ভব হয়েছিল। কিন্তু প্রায় তিন বছর পর বর্তমানে উচ্চতর শিক্ষার জন্য উপজেলা থেকে তাঁদের অধিকাংশই বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে বদলি হয়ে যাচ্ছেন।
ফলে মাঠ পর্যায়ে আবারো চিকিৎসক সংকটের মতো পরিস্থিতির যেন সৃষ্টি না হয় সেদিকে সতর্ক থাকার জন্য পরিচালকদের নির্দেশ দিয়ে মন্ত্রী জানান, শীঘ্রই তিনশত চিকিৎসক নিয়োগ দিয়ে মাঠ পর্যায়ে পদায়ন করা হবে। এসময় তিনি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতৃত্বের দক্ষতা বাড়াতে বিশেষ প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেওয়ারও নির্দেশ দেন। উপজেলা ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রাঙ্গন পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা এবং যন্ত্রপাতির যথাযথ সংরক্ষণেও সতর্ক থাকার জন্য সকলকে তিনি নির্দেশ প্রদান করেন।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের স্বাস্থ্যসেবার অর্জন আজ সারা বিশ্বে প্রশংসিত হচ্ছে। অনেক দেশ আমাদের সেবা ব্যবস্থাপনাকে মডেল হিসাবে বিবেচনা করছে। সভায় অন্যান্যের মাঝে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্য সচিব মোঃ সিরাজুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদসহ মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।