শিক্ষার্থীদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে জাতীয় দিবস উদযাপন বাধ্যতামূলক : শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষার্থীদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে জাতীয় দিবস উদযাপন বাধ্যতামূলক : শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, শিক্ষার্থীরা যাতে দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে ধারণ করে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে পারে এজন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় দিবস উদযাপন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকারের সময়ে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২১ ফেব্রুয়ারী, ২৬ মার্চ, ১৫ আগষ্টসহ প্রত্যেকটা গুরুত্বপূর্ন দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপিত হচ্ছে।’
শিক্ষামন্ত্রী সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনিস্টিটিউট মিলনায়তনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ সব কথা বলেন।
নতুন প্রজন্মকে আধুনিক বাংলাদেশের নির্মাতা হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে উল্লেখ করে নাহিদ বলেন, ‘ভুলÑত্রুটি যেমন রয়েছে, তেমনি অভিজ্ঞতাও রয়েছে। তা সত্ত্বেও সর্বস্তরের শিক্ষার্থীদের বিশ্বমানের ও যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার বদ্ধপরিকর। এই লক্ষ্যেই পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের সঠিকভাবে গড়ে তুলতে পারলেই দেশের জন্য যারা প্রাণ দিয়েছেন, আত্মত্যাগ করেছেন, ওইসব শহীদদের স্বপ্ন সফল হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দেশ উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। অভাব ও দারিদ্র্য উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে। সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় ২০২১ সালের মধ্যে দেশ দারিদ্র্যমুক্ত এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের আয়োজনে এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. আলমগীর, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামান।
অনুষ্ঠানে মুলবক্তা হিসেবে বক্তৃতা করেন ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের এমিরেটাস অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম। স্বাগত বক্তৃতা করেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) প্রফেসর মুহাম্মদ শামছুল হুদা।
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।

বাংলাদেশ