পদ্মাসেতু প্রসঙ্গে বিশ্বব্যাংক কোথা থেকে অর্থ নেবে সে সিদ্ধান্ত সরকারের

পদ্মাসেতু প্রসঙ্গে বিশ্বব্যাংক কোথা থেকে অর্থ নেবে সে সিদ্ধান্ত সরকারের

পদ্মা সেতু নির্মাণে মালয়েশিয়ার অর্থায়ন প্রসঙ্গে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর অ্যালেন গোল্ডস্টেইন বলেছেন, ‘এ বিষয়ে তিনি নতুন করে আর কোনো মন্তব্য করতে চান না।’

তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতু নির্মাণে কোত্থেকে টাকা নেওয়া হবে সে সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ সরকারই নেবে।’

বৃহস্পতিবার পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে গ্রামাঞ্চলে পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সাংবাদিকেদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

অনুষ্ঠানে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব ইকবাল মাহমুদ বলেন,  ‘জনগণের স্বার্থ বিবেচনা করেই সরকার সিদ্ধান্ত নেবে কাদের অর্থায়নে পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।’

তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘টাকা যেখান থেকেই আসুক না কেন পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়ন হবেই ।’

গত ১০ এপ্রিল কুয়ালালামপুরে মালয়েশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের সমঝোতা স্মারক চুক্তি সই হয়। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুরে উড়ে যান।

পদ্মা সেতুর অর্থায়নে সরকার  বিশ্বব্যাংক ছাড়া এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), জাপান ঋণদানকারি সংস্থা ও ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের (আইডিবি) সঙ্গে চুক্তি সই করেছিল।

পরবর্তীতে তৎকালীন যোগাযোগ মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের নির্মাণ প্রতিষ্ঠান সাকো ইন্টারন্যাশনালের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনে বিশ্বব্যাংক। এ ঘটনার পর বিশ্বব্যাংক পদ্মাসেতু প্রকল্প অর্থ ছাড় স্থগিত করে।

বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়টি ফয়সালা না হওয়া পর্যন্ত তারা পদ্মা সেতু প্রকল্পে কোনো অর্থ ছাড় করবে না।

৬.১৫ কিলোমিটার দৈঘ্যের পদ্মা সেতু নির্মাণে ওই সময় ব্যয় ধরা হয়েছিল ২ দশমিক ৯ বিলিয়ন। এ প্রকল্পের জন্য সরকারের গতে ২০১০ সালের এপ্রিলে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ১২০ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তি সই হয়।

অর্থ বাণিজ্য