গণপরিবহনে নৈরাজ্য বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

গণপরিবহনে নৈরাজ্য বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

গণপরিবহনে নৈরাজ্য বন্ধের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ গণ-ঐক্য নামের একটি সংগঠন। বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, বর্তমানে নগরীর পরিবহন ব্যবস্থায় চলছে ভয়াবহ নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি। অধিকাংশ বাসে সিটিং সার্ভিসের নামে চলছে চিটিংবাজি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও কোনো যানবাহন পাওয়া যায় না। ফলে বিশেষ করে নারীদের পক্ষে ভদ্রোচিতভাবে যাতায়াত করা কঠিন হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি গণপরিবহনের ভাড়া নিয়ন্ত্রণহীনভাবে বাড়ছে। এছাড়া যত্রতত্র প্রাইভেট গাড়ি পার্কিং করায় ফুটপাত দিয়ে হেঁটে চলাচলও কঠিন হয়ে পড়েছে, বেড়ে গেছে দুর্ঘটনা।

বক্তারা আরও বলেন, বিআরটিসি’র আইনে সিটিং সার্ভিস বলে কিছু নেই, কিন্তু বাস মালিকরা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে যাত্রী হয়রানির এই দুষ্কর্মটি নিয়মিতই চালিয়ে যাচ্ছেন। ফলে দুর্ভোগের স্বীকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এ ব্যাপারে সরকার ও ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের লক্ষণীয় কোনো পদক্ষেপ না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।

সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বলেন, গণপরিবহনে আরেকটি বড় সমস্যা গাড়ির আকারের তুলনায় অধিক পরিমাণ সিট রাখা। বিআরটিএ অনুমোদিত সিটের চেয়ে বেশি সিট রাখায় যাত্রীদের বসতে কষ্ট হয়। চালকসহ ৩১ সিটের বাসে বহন করা হয় ৫০ জনের অধিক যাত্রী। এছাড়া প্রতিটি বাসেই নারী, শিশু ও প্রতিবন্ধীদের জন্য আসন নির্ধারিত থাকার কথা থাকলেও বিআরটিসি ছাড়া অধিকাংশ বাসে তা মানা হয় না। এসব বাসের নারীদের সিটে বসে থাকেন পুরুষরা।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আরমান হোসেন পলাশের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন-জাতীয়তাবাদী দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, সহ-সভাপতি নাজমুল হোসেন রনি, গণতন্ত্র রক্ষা মঞ্চের সমন্বয়ক মনোয়ার হোসেন বেগ প্রমুখ।

বাংলাদেশ