ভেন্যু কলম্বো ক্রিকেট ক্লাব মাঠ জানা থাকলেও ম্যাচের দিন সকালেও প্রতিপক্ষ অজানাই ছিল। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের আগে ২২ মার্চ যে একটি মাত্র প্রস্তুতি ম্যাচ আছে, তাতে মাশরাফিবাহিনীর প্রতিপক্ষ কোন দল? মঙ্গলবার পড়ন্ত বিকেলে অনুশীলনে তা জানাতে পারেননি ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ, লঙ্কান ব্যাটিং কোচ থিলান সামারাভিরা ও বাংলাদেশের টিম লিয়াজো বসন্ত আরিয়াবিক্রমা।
আজ (বুধবার) সকালে টসের ঠিক আগে জানা হলো প্রস্তুতি ম্যাচে টাইগারদের প্রতিদ্বন্দ্বী শ্রীলঙ্কান বোর্ড সভাপতি একাদশ।
তাও নামেই শুধু নয়। লঙ্কান বোর্ড সভাপতি একাদশ দলটিতে পরিচিত ও প্রতিষ্ঠিত পারফরমারের ছড়াছড়ি। দিলশান মুনাবিরা, কুশল জানিথ, সান্দুন বিরাকুদ্দি, ধনঞ্জয় ডি সিলভা, চতুরাঙ্গা ডি সিলভা, থিসারা পেরেরা প্রমুখ। আগেই জানা তামিম-সাকিব ও মোস্তাফিজ আর শুভাশিস খেলবেন না। আর মুশফিকুর রহীমকেও গ্লাভস হাতে উইকেটের পেছনে দেখা যাবে না। তার বদলে নুরুল হাসান সোহান কিপিং করবেন।
তামিম-সাকিবের খেলার প্রশ্নই ওঠে না। তামিম মুম্বাইতে ছোট অবকাশ যাপন ও জন্মদিন পালন শেষে আজ দলের সাথে যোগ দেবেন। আর সাকিবও ছুটিতে। গল ও কলম্বোয় দুই টেস্ট খেলা দুই পেসার মোস্তাফিজুর রহমান ও শুভাশিস রায় বিশ্রামে। বাস্তবেও তাই দেখা গেল। ঐ চারজন নেই দলে। নুরুল হাসান সোহান কিপিং করলেন।
এর বাইরে আজকের প্রস্তুতি ম্যাচে নতুন খবর দুটি। টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুর ড্রেসিং রুমে বসে থাকলেও ফিল্ডিংয়ে নামেননি। আর হাতের কব্জিতে ব্যথা থাকায় সৌম্য সরকারও ফিল্ডিং করেননি। শুধু প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলতে ঢাকা থেকে শেষ মুহূর্তে উড়ে যাওয়া আবুল হাসান রাজু ও সাইফুদ্দিন ঠিকই খেলেছেন।
আবুল হাসান রাজু ও সাইফুদ্দিন দুজনই পেসার। তারা ছাড়া মূল দলের তিন পেসার অধিনায়ক মাশরাফি, রুবেল হোসেন ও তাসকিন আহমেদ বোলিং করেছেন। আর অফস্পিনার শুভগত হোম ও বাঁহাতি স্পিনার সানজামুল ইসলাম স্পিনারের কোটায় বোলিং করেছেন।
প্রচণ্ড গরম। খোলা আকাশের নিচে মিনিট দশেক দাঁড়িয়ে থাকলেই নাভিশ্বাষ উঠে যায়। ঘেমে নেয়ে উঠতে হয়। এ গরম পেসারদের জন্য বিরাট বাঁধা। টানা চার ওভার বল করতেই শরীরের অর্ধেক শক্তি শেষ হয়ে যাচ্ছে। সেটা হচ্ছে মূলত অতিমাত্রায় ঘামের কারণে। আবহাওয়া প্রতিকূল। কিন্তু মাঠ ও উইকেট চমৎকার। উইকেট শতভাগ ব্যাটিং সহায়। শুধু ভালো জায়গায় বল ফেলা ছাড়া বোলারদের কিছুই করার নেই। রান গতি আটকে রাখাই দায়।
তাইতো মাশরাফি, তাসকিন, রুবেল, শুভগত, সানজামুল, আবুল হাসান রাজু, সাইফউদ্দিন ও মোসাদ্দেকের গড়া বোলিংয়ের বিরুদ্ধে লঙ্কান বোর্ড সভাপতি একাদশের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ৩৫৪ রান। সর্বাধিক ৬৭ রান ( ৫৩ বলে, আট বাউন্ডারি ও দুই ছক্কা) করেছেন ওয়ান ডাউনে নামা বিরাকোডি। দ্বিতীয় সর্বাধীক ৬৪ ( ৮৯ বলে) রান আসে ওপেনার কুশল পেরেরার ব্যাট থেকে। এছাড়া ধনঞ্জয় ডি সিলভা ৪২, শ্রীবর্ধনে ২৯ বলে ৩২ এবং থিসারা পেরেরা ৩৩ বলে ৪২ রানের ঝড়ো ইনিংস সাজালে লঙ্কান বোর্ড সভাপতি একাদশের রান দাড়ায় ৭ উইকেটে ৩৫৪ রান।
বাংলাদেশের বোলারদের কেউ তেমন সুবিধা করতে পারেননি। মাশরাফি ৯ ওভারে ৬৬ রানে এক উইকেট দখল করেছেন। এছাড়া তাসকিন আহমেদ ৬ ওভারে ৫২ রানে এক উইকেট, রুবেল হোসেন ৭ ওভারে ৫৭ রানে ০ উইকেট, শুভগত হোম ১০ ওভারে ৫৮ রান দিয়ে কোন উইকেট পাননি। সানজামুল ইসলামই একমাত্র বোলার যিনি কম রান দিয়েছেন। তার ৬ ওভারের স্পেলে রান উঠেছে ২৭, নিয়েছেন ১ এক উইকেট।