দক্ষিণ সুদানি সেনাদের দখল করা সীমান্তবর্তী একটি গুরুত্বপূর্ণ শহরের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে সুদানি বাহিনী। আফ্রিকার এই দুই প্রতিবেশী দেশের সীমান্তে অবস্থিত বিরোধপূর্ণ হেগলিগ শহরটি এক সপ্তাহ আগে দখল করে নেয় দক্ষিণ সুদানি বাহিনী। এতদিন এলাকাটি নিয়ন্ত্রণ করতো সুদান।
হেগলিগ অঞ্চলটি তেল উৎপাদনের জন্য কৌশলগত ভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সুদানের মোট তেল উৎপাদনের অর্ধেকই আসে শুধুমাত্র হেগলিগ থেকে।
সুদানি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র আল সাওয়ারমি খালিদ সাদ খার্তুমে সাংবাদিকদের বলেছেন তাদের বাহিনী ইতিমধ্যেই হেগলিগ শহরের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাদের বাহিনী শহরটির ওপর নিয়ন্ত্রণ পুন:প্রতিষ্ঠা করতে পারবে বলেও জানান তিনি। সাদ এসময় জানান হেগলিগের পাশাপাশি দক্ষিণ সুদান বিরোধপূর্ণ দক্ষিণ কর্দোফান প্রদেশের ওপরও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলো। কিন্তু তাদের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।
এদিকে দক্ষিণ সুদানের এক মুখপাত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে দেশটির রাজধানী জুবা থেকে একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধি জানিয়েছেন সুদানি বাহিনী হেগলিগ শহরের থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। তবে দক্ষিণ সুদানি সেনাবাহিনী তাদের প্রতিরোধ করার প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানান তিনি।
উভয় দেশের এই রণপ্রস্তুতিতে বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন হেগলিগের সংঘাত শেষ পর্যন্ত দুই দেশকে একটি পূর্ণমাত্রার যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
এদিকে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিশ্বের প্রধান প্রধান শক্তিগুলো ও জাতিসংঘ অবিলম্বে লড়াই বন্ধ করতে উভয় পক্ষের প্রতি আহবান জানিয়েছে। এর পাশাপাশি আফ্রিকার দেশগুলোর সংস্থা আফ্রিকান ইউনিয়নও দক্ষিণ সুদানি বাহিনীর হেগলিগ দখলের নিন্দা জানিয়ে সম্ভাব্য যুদ্ধ এড়ানোর জন্য উভয় পক্ষের প্রতি আহবান জানিয়েছে।