আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, পৃথিবীর কোন দেশে নির্বাচনকালীন সরকার বলে কোন কথা নেই।
তিনি বলেন, ভারত, আমেরিকাসহ বিশ্বের সকল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রেই ক্ষমতাসীন দলের অধীনে জাতীয় নির্বাচন হয়। বাংলাদেশেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধিনেই একাদশ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
মোহাম্মদ নাসিম রোববার সিরাজগঞ্জের শহীদ শামসুদ্দিন স্টেডিয়ামে জেলা পুলিশের আয়োজনে কমিউনিটি পুলিশিং সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে সমাবেশে পুলিশের মহা-পরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক, অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল¬াত মুন্না এমপি, গাজী ম ম আমজাদ হোসেন মিলন এমপি, সেলিনা বেগম স্বপ্না এমপি, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি খুরশীদ আলম, র্যাব-১২ এর অধিনায়ক মো. শাহাব উদ্দিন খান, জেলা প্রশাসক কামরুন নাহার সিদ্দিকা এবং জেলা কমিউনিটি পুলিশিং সমন্বয় কমিটির আহবায়ক বিমল কুমার দাস বক্তব্য রাখেন।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, নির্বাচনের বিকল্প কেবল নির্বাচন। গনতন্ত্রের বিকল্প গণতন্ত্র। জ্বালাও পোড়াও এবং মানুষ হত্যা কোন রাজনৈতিক কর্মসূচি হতে পারে না। বিএনপি ২০১৪ সালের নির্বাচন বন্ধ করতে সারাদেশে জ্বালাও-পোড়াও ও মানুষ হত্যায় লিপ্ত হয়েছিল। তারা টার্গেট করে পুলিশকে হত্যা করেছে। তারপরও নির্বাচন হয়েছে। শেখ হাসিনা আবারও প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, জঙ্গীবাদ প্রতিরোধে ভারত-পাকিস্তানসহ ইউরোপ আমেরিকার উন্নত রাষ্ট্রগুলো যেখানে ব্যর্থ হয়েছে, সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সফলতা অর্জন করেছে। বাংলাদেশের পুলিশ জীবন দিয়ে জঙ্গীবাদ নির্মূলে প্রচেষ্ঠা অব্যাহত রেখেছেন। বাংলাদেশের পুলিশ এখন সাহসী। এদেশে আর কোন দিন জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাস মাথাচড়া দিয়ে উঠতে পারবে না।
কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মাধ্যমে পুলিশ-জনগণের সেতুবন্ধন সৃষ্টির আহবান জানিয়ে নাসিম বলেন, সাধারণ মানুষ পুলিশের বন্ধু হবে, তবে মাদক ব্যবসায়ী, জঙ্গী ও সন্ত্রাসীরা যেন কখনো প্রশ্রয় না পায়। আর কমিউনিটি পুলিশিংয়ের কর্মকর্তারা যেন নিজেকে পুলিশের হর্তাকর্তা না ভাবেন সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে।
এ কে এম শহীদুল হক বলেন, বৃটিশ ও পাকিস্তান আমলে পুলিশকে যেভাবে ব্যবহার করা হতো, সে অবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। জনগনের সাথে পুলিশের সম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে। পুলিশের ওপর জনগনের হারিয়ে যাওয়া আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। আর এটা একমাত্র সম্ভব কমিউনিটি পুলিশিং-এর মাধ্যমে।
তিনি বলেন, বর্তমানে সময়ে পুলিশের দু’টো বানির্ং ইস্যু রয়েছে। একটি হলো মাদক, অন্যটি হলো জঙ্গীবাদ নির্মূল করা। এ দেশটি যেন আগামীতে ইরাক ও সিরিয়ার মত না হয়, কমিউনিটি পুলিশিং-এর মাধ্যমে জঙ্গী ও মাদক দু’টোকেই নিমুল করতে হবে।