রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হক বলেছেন, যমুনা নদীর ওপর আলাদা রেল সেতু নির্মাণ করা হবে। আর এটিরও নামকরণ হবে বঙ্গবন্ধুর নামেই। উত্তরাঞ্চল-পশ্চিমাঞ্চলে রেল যোগাযোগ গতিশীল করতেই এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
রোববার রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে রাজশাহী-খুলনা রুটে ‘কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস’ ট্রেনের নতুন কোচের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর অগ্রগতির বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, জাপানি অর্থায়নে এই সেতু নির্মাণ করা হবে। এরই মধ্যে পরামর্শক নিয়োগ করা হয়েছে। এখন টেন্ডার আহ্বানের প্রস্তুতি চলছে। খুব শিগগিরই এই সেতু নির্মাণ শুরু হবে।
তিনি আরও বলেন, রাজশাহীসহ উত্তরা-পশ্চিমাঞ্চলে আরো বেশি করে ট্রেন চলাচল প্রয়োজন। কিন্তু যমুনার ওপারে যে সেতু আছে, তাতে বেশি ট্রেন চালানোর সুযোগ নেই। এ বাধা দূর করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আলাদা রেল সেতু নির্মাণ হচ্ছে।
চট্টগ্রামের দোহাজারি থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ করা হবে জানিয়ে রেলপথ মন্ত্রী বলেন, বিএনপির আমলে বহু রেল স্টেশন বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। এ মাসে এক সঙ্গে ৬০টি স্টেশন চালু করা হয়েছে। বাংলাদেশে যেখানে যেখানে রেল স্টেশন বন্ধ আছে, আগামী ছয় মাসের মধ্যে সমস্ত স্টেশন চালু করা হবে।
দেশের ৬৫০টি লেভেল ক্রসিংয়ের মানোন্নয়নের ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, লেভেল ক্রসিংয়ের মান উন্নয়নে দুটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এক হাজার ৮০০ গেট কিপার নিয়োগ দেয়ার পর লেভেল ক্রসিং গেইটের আর কোনো রকম সমস্যা থাকবে না। তাছাড়া ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ প্রক্রিয়া এগিয়ে চলছে।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক খায়রুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ও রাজশাহী মহানগরের সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর আসনের সংসদ সদস্য আবদুল ওদুদ, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক আমজাদ হোসেন, রাজশাহী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, রেলওয়ে শ্রমিক লীগের সদর দফতর শাখার সভাপতি মোতাহার হোসেন প্রমুখ।
এর আগে ভারত থেকে আমদানি করা লাল-সবুজ কোচের উদ্বোধন করেন অতিথিরা। ১২টি বগি নিয়ে দুপুর সোয়া ২টায় ট্রেনটি রাজশাহী থেকে খুলনার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে।