দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে খানিকটা বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। কিন্তু তৃতীয় উইকেট জুটিতে বীরের মতোই ব্যাটিং করছেন তামিম ইকবাল। সাব্বির রহমানকে সঙ্গে নিয়ে দলকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যের দিকে নিয়ে যান তামিম।
এরই মধ্যে তামিম তুলে নিয়েছেন নিজের ২২তম ফিফটি। রানের মধ্যেই আছেন তিনি। দলের কঠিন সময়ে সাধ্যমতো লড়াই করে যান এই ওপেনার। তামিমের সবশেষ তিন ইনিংস ছিল এমন-১৯, ৫৭, ৪৯।
এদিকে তামিম-সাব্বিরে ভর করে ম্যাচে ফিরেছে বাংলাদেশ। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২ উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮৪ রান। জয়ের জন্য টাইগারদের করতে হবে আরও ১০৭ রান।
প্রথম সেশন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৩৮ রান। ১৯১ রানের লক্ষ্যমাত্রা মাথায় নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। শুরুতে দেখেশুনে খেললেও ক্রমেই উড়িয়ে মারা শুরু করেন তামিম-সৌম্য জুটি।
সেটার পরিণাম যে কতটা ভয়াবহ হলো টের পেয়েছেন সৌম্য। রীতিমত বাজে শটে আউট হয়েছেন তিনি। আর পিচে নেমে হতাশ করলেন ইমরুল। ফিরলেন খালি হাতেই।
এর আগে ৩১৯ রানের মাথায় লঙ্কান লেজ কাটল টাইগার বোলাররা এর ফলে শততম টেস্ট জয়ের জন্য বাংলাদেশকে করতে হবে ১৯১ রান।
২৩৮ রানের মাথায় অষ্টম উইকেটের পতন হয় শ্রীলঙ্কার। এরপর নবম উইকেটে যা করছে লঙ্কানরা সেটা মোটেই স্বস্তিদায়ক ছিল না। দুজন মিলে স্কোরবোর্ড ৮০ রান যোগ করে।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে টাইগার বোলারদের তোপের মুখে পড়ে লঙ্কানরা। চতুর্থ দিন শেষে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ছিল ৮ উইকেটে ২৬৮ রান। লঙ্কানদের হয়ে সর্বোচ্চ ১২৬ রানের ইনিংস খেলেন দিমুথ করুনারাত্নে। দুজন মিলে স্কোরবোর্ড ৮০ রান যোগ করে।
সাকিবের ১১৬, মোসাদ্দেকের ৭৫ আর মুশফিকের ৫২ রানের সুবাদে লঙ্কানদের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৪৬৭ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কান হয়ে বল হাতে ৪টি করে উইকেট নেন হেরাথ এবং সানদাকান।
প্রথম ইনিংসে দিনেশ চান্দিমালের ১৩৮ রানে ভর করে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ করে ৩৩৮ রান। চান্দিমাল ছাড়াও শেষ দিকে লাকমালের ক্যারিয়ার সেরা ৩৫ রান লঙ্কানদের লড়াকু পুঁজি গড়তে অবদান রাখে।
গল টেস্টে রঙ্গনা হেরাথের বোলিং তোপে বাংলাদেশকে ২৫৯ রানের বিশাল ব্যবধানে হারাল শীলঙ্কা। সে ম্যাচে হেরাথ একাই ৬টি উইকেট শিকার করেছেন। ফলে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজে এখন ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ।