নতুন প্রজন্ম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে নিজেদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলবে, এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
শনিবার রাজধানীর আজিমপুর কলোনি মাঠে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আজিমপুর কলোনি মাঠে বঙ্গবন্ধুর ৯৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ৭ দিন ব্যাপী বঙ্গবন্ধু উৎসবের আয়োজন করে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব উৎসব উদযাপন পরিষদ।
স্পিকার বলেন, অন্যায়ের প্রতি বঙ্গবন্ধু ছিলেন প্রতিবাদী। অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গেলে তা অনুধাবন করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর দর্শন ছিলো মানুষকে ভালোবাসা। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই ছিল বঙ্গবন্ধুর বড় প্রত্যয়। বাঙালির অর্থনৈতিক মুক্তি, রাজনৈতিক মুক্তির জন্য তিনি সংগ্রাম করেছেন। রাজনৈতিক মুক্তি তিনি দিয়ে গেছেন। অর্থনৈতিক মুক্তির কাজ তিনি শুরু করেছিলেন। কিন্তু সে কাজ শেষ করার সময় দেয়া হয় নাই। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
স্পিকার বলেন, তাঁর দর্শন ছিলো মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করা। বঙ্গবন্ধু প্রচণ্ড সাহসী ও আপোসহীন নেতা ছিলেন। অন্যায়ের কাছে তিনি কখনও মাথা নত করেননি।
শিরীন শারমিন বলেন, তিনি বলেছিলেন, সারা বিশ্ব আজ দুই ভাগে বিভক্ত; শোষক আর শোষিত। আমি শোষিতের পক্ষে। বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলাদেশের নেতা ছিলেন না, সারা বিশ্বের দরিদ্র, বঞ্চিত মানুষের পক্ষে তিনি একজন বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর। নির্যাতিত-বঞ্চিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিশ্বের যেখানেই যখন কোনো সংগ্রাম হবে, তখন বঙ্গবন্ধুর মতো একটি বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কথা তাঁরা স্মরণ করবেন।
‘ইহাই হয়তো আমার শেষ ভাষণ, আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন’ ৩৫ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধু এই স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন বলে সংবিধানের উদ্ধৃতি তুলে ধরেন স্পিকার।
এ ধরনের উৎসবের আয়োজন করায় আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান তিনি।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব উৎসব উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক হাসিবুর রহমান মানিকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন, উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব শেখ রানা প্রমুখ।