মমতা ব্যানার্জিকে ইভটিজিং!

মমতা ব্যানার্জিকে ইভটিজিং!

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপককে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সমর্থকরা। আর পুলিশ ওই অধ্যাপককে যে ধারায় গ্রেফতার দেখিয়েছে, তা সাধারণত ইভটিজিংয়ের ধারা। অর্থাৎ সোজা কথায় এখন বলা যায়, মমতা ব্যানার্জিকে ইভটিজিংয়ের অভিযোগে ওই অধ্যাপককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মূল বিষয়টি এরকম— পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে ব্যঙ্গ করে কার্টুন আ‍ঁকেন অম্বিকেশ মহাপাত্র নামের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই অধ্যাপক। এরপর তা পোস্ট করেন ফেসবুকে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তৃণমূলের সমর্থকরা ওই অধ্যাপকের ওপর হামলা চালায় বৃহস্পতিবার রাতে। বেচারা অধ্যাপককে উত্তম-মধ্যম দেওয়ার পর অবশেষে পুলিশের হাতে তুলে দেয় তারা।

পুলিশ রসায়নের এই অধ্যাপককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৯ ধারার আওতায়। এই ধারা সাধারণত ইভটিজিংয়ের দায়ে আরোপ করা হয়। এর পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৫০০ নং ধারার আওতায় নারীর মর্যাদা ক্ষুণ্ণ ও সম্মানহানির অভিযোগ আনা হয়েছে।

এছাড়া ইন্টারনেটের মাধ্যমে বেআইনী কর্মকাণ্ড চালানোর অভিযোগও আনা হয় এই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার রাতে গরিয়ায় অবস্থিত বাড়িতে ফেরার সময় তৃণমূলের একদল সমর্থক তার ওপর হামলে পড়ে। তাকে বেদম ধোলাই দেয় দিদির উত্তেজিত সমর্থকরা। অবশেষে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। অধ্যাপককে শুক্রবার আলিপুর আদালতে তোলার কথা।

অন্যদিকে সহকর্মীর ওপর হামলা এবং তাকে গ্রেফতারের ঘটনায় করণীয় ঠিক করতে এক জরুরি বৈঠক ডেকেছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

অধ্যাপককে গ্রেফতার ও তাকে নির্যাতনের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল সিপিএম। সিপিএমের অন্যতম শীর্ষ নেত্রী বৃন্দা কারাত এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘এই হামলা গণতান্ত্রিক অধিকার এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর পরিস্কার আক্রমন। তিনি সিদ্ধান্ত দিয়েছেন মানুষ পাঠাগারে কি পড়বে। আগামীকাল তিনি আমাদের চিন্তা ঠিক করে দেবেন। জরুরি অবস্থার সঙ্গে এই পরিস্থিতির সাদৃশ্য রয়েছে।’

এ সময় বৃন্দা কারাত মূখ্যমন্ত্রী মমতার সমালোচনা করে বলেন, ‘এই নারী নিজের বিরুদ্ধে সমালোচনা একেবারেই সহ্য করতে পারে না।’

আন্তর্জাতিক