বঙ্গবন্ধুর সংস্পর্শের স্মৃতিচারণ করলেন শেখ রেহানা

বঙ্গবন্ধুর সংস্পর্শের স্মৃতিচারণ করলেন শেখ রেহানা

বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা শিশুদের সঙ্গে আলাপচারিতায় শৈশবে তার পিতার সংস্পর্শের স্মৃতিচারণ করেছেন। জাতির জনকের ৯৮তম জন্মদিন উপলক্ষে সেন্টার ফর রিসার্চ এন্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে শুক্রবার এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
তিনি বলেন, আমরা যখন শিশু ছিলাম, তখন অধিকাংশ সময় বাবা ছিলেন কারাগারে। তাই অধিকাংশ সময় আমরা বাবার ¯েœহ ও ভালবাসা থেকে বঞ্চিত ছিলাম। শেখ রেহানা বলেন, ‘আমি যখন তোমাদের মত ছোট ছিলাম, তখন আমার বাবা অধিকাংশ সময় ছিলেন কারাগারে, লড়াই করেছেন দেশের জন্য।’
তিনি যখন শিশুদের প্রশ্ন করেন কে তোমাদেরকে স্কুলে নিয়ে যায়, জবাবে অধিকাংশ শিশুই জানায় তাদের বাবা। বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘আমি তোমাদের মতো ভাগ্যবান ছিলাম না। অধিকাংশ সময়ই হয় আমি একা যেতাম, নয়তো আমার মা স্কুলে নিয়ে যেতেন। ব্যতিক্রম হচ্ছে বাবা যখন কারাগারের বাইরে থাকতেন, তিনি আমাকে স্কুলে নিয়ে যেতেন।’
শেখ রেহানা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যখন কাজ থেকে ফেরার সময় তাকে স্কুল থেকে তুলে নিতেন তখন ঈদের আনন্দের মতো খুশি লাগতো। ঈদের মতো ছুটির দিনগুলোতে অন্যান্য শিশুরা যখন বাবার সঙ্গে দোকানে গিয়ে কি কেনাকাটা করেছেন তা নিয়ে একে অপরের সঙ্গে গল্প করতো, তখন আমি নীরব থাকতাম। এক ছুটির দিন বাবা যখন বাড়িতে ছিলেন তখন আমি তাকে জোর করে নিউমার্কেট নিয়ে যাই। বঙ্গবন্ধু তাকে নিউমার্কেট নিয়ে যান এবং আইসক্রিম ও নতুন জামা-কাপড় কিনে দেন। সেদিন খুশিতে আমি নেচে উঠি।’
শেখ রেহানা বঙ্গবন্ধুর মতো মহান ব্যক্তিদের আরো বেশি জানার জন্য শিশুদের প্রতি আহ্বান জানান, যাতে কিভাবে জনগণকে সাহায্য করা যায়, জনগণের জন্য ত্যাগ স্বীকার করা যায় এবং অসহায়দের পাশে দাঁড়ানো যায়, তা জানা যায়। তিনি মনোযোগ সহকারে পড়ালেখা করার এবং স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রাখার জন্য শিশুদের পরামর্শ দেন।
শেখ রেহানা ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ির দিনগুলোর স্মৃতিচারণ করে বলেন, তার বয়স যখন ৩ থেকে ৪ বছর তখন তার পরিবার এই বাড়িতে ওঠে। বঙ্গবন্ধু যখন কারাগারের বাইরে থাকতেন, তখন বাড়িতে তার সঙ্গে বাস্কেট বল ও ব্যাডমিন্টন খেলতেন। কারামুক্ত হয়ে যখন বাড়িতে থাকতেন, তখন তিনি তার সঙ্গে কথা বলতেন, কারাগারের গল্প শোনাতেন।
শেখ রেহানা বঙ্গবন্ধু কোথায় জন্মগ্রহণ করেন এবং তার পিতা-মাতার নাম কি শিশুদের জিজ্ঞাসা করলে তারা সঠিকভাবে জবাব দেয়।
শেখ রেহানা শিশুদের জিজ্ঞাসা করেন তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ সম্পর্কে জানে কি-না। এ সময় শিশুদের সাথে সাথে তিনিও বলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’

বাংলাদেশ