শিশুকাল থেকেই দেশপ্রেমের শিক্ষাগ্রহণে শিশুদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহবান

শিশুকাল থেকেই দেশপ্রেমের শিক্ষাগ্রহণে শিশুদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহবান

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশুকাল থেকেই দেশপ্রেমের শিক্ষা গ্রহণ করে শিশুদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শে নিজেদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার আহবান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের ছেলে-মেয়েদের ভেতর একটি আত্মবিশ্বাস সৃষ্টি করতে হবে। এ জন্য প্রয়োজন জাতির পিতা শিশুকাল থেকেই যেমন নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছিলেন দেশ ও জনগণের কল্যাণে, ঠিক সেভাবেই শিশুদেরকে গড়ে তুলতে হবে’।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতার সেই জীবনী অনুসরণ করে দেশ ও দেশের মানুষকে ভালোবাসা, দেশের প্রতি কর্তব্যবোধ থাকা, কি পেলাম, কি পেলাম না, সেই চিন্তা না করা। কতটুকু দেশের জন্য করতে পারলাম সেই চিন্তাটা সবার মাঝে থাকতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী আজ ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৭তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস-২০১৭’ উদযাপন উপলক্ষে টু্ঙ্গিপাড়ার বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে আয়োজিত শিশু সমাবেশ, আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মালেকা একাডেমী গোপালগঞ্জের ৫ম শ্রেণীর ছোট্ট শিশু উপমা বিশ্বাস।
অনুষ্ঠানে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র ফারিয়াদ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ স্বাগত বক্তৃতা করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার এবং দুস্থদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ করেন। দিবসটি উপলক্ষে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে একশ’জনের মধ্যে সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং কোমলমতি শিশু-কিশোর, অভিভাবক ও শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সরকার প্রধান বলেন, শুক্রবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন। এই দিনটিকেই আমরা জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছি।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এ দেশের মানুষের অধিকার আদায়ে সারাজীবন সংগ্রাম করেছেন, দেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। তাঁর চিন্তা-চেতনার ফসলই হচ্ছে আজকের বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, আমরা ছোটবেলা থেকেই দেখেছি- একটি ছোট্ট শিশু বাবা-মায়ের হাত ধরে স্কুলে যাচ্ছে। কিন্তুু আমাদের কখনো সেই সৌভাগ্য হয়নি, বাবার হাত ধরে স্কুলে যাবার। কারণ, যখন একটু জ্ঞান হয়েছে তখন থেকেই কারাগারে যেতাম বাবার সঙ্গে দেখা করতে। বাবার দোষ ছিল একটাই, তিনি এ দেশের দুঃখী, দরিদ্র মানুষ যাদের পেটে ভাত নাই, পরনে কাপড় নাই, যাদের থাকার মতো একটু বাসস্থান নাই, যারা রোগে-শোকে ধুঁকে ধুঁকে মারা যায়, এক ফোঁটা ওষুধ পায় নাÑ সেই বঞ্চিত, শোষিত মানুষগুলোর কথা তিনি সবসময় বলতেন। আর যখনই বলতেন তখনই তাঁকে কারাগারে নিক্ষেপ করা হতো। কিন্তুু তিনি দমে যাননি। এই টুঙ্গিপাড়ার মাটিতে তাঁর জন্ম। এই এলাকার ধুলোমাটি শরীরে মেখে মাটিতে খেলাধুলা করে, পাশে বয়ে যাওয়া নদীতে ঝাঁপ দিয়ে তিনি বড় হয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি গ্রামবাংলার মানুষকে চিনতেন, জানতেন, অনেক কাছে থেকে দেখেছেন তাদের সমস্যা। কাজেই তিনি সবসময় নিজেকে একটি আদর্শ নিয়ে গড়ে তুলেছিলেন। আদর্শটা হচ্ছে জনগণের সেবা ও জনকল্যাণে কাজ করা। তাই ছোটবেলা থেকেই তিনি মানুষের জন্য কাজ করেছেন।
মানুষের প্রতি বঙ্গবন্ধুর গভীর মমত্ববোধ সম্পর্কে সরকার প্রধান বলেন, বঙ্গবন্ধু যখন স্কুলে পড়তেন তখনই তাঁর একজন শিক্ষকের নেতৃত্বে একটি সংগঠন গড়ে তোলেন। যার কাজ ছিলো ধানের মওসুমে গোলায় যখন ধান উঠতো সেই ধান বা টাকা-পয়সা জোগাড় করে দরিদ্র ছেলে-মেয়েদের বই কিনে দিয়ে তাদের লেখাপড়ার ব্যবস্থা করা, সাহায্য করা। এভাবেই সেই ছোট্টবেলা থেকেই তার দেশসেবার হাতেখড়ি।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় তাঁর দাদির কাছ থেকে শোনা কথা স্মৃতিচারণ করে বলেন, তোমার বাবার জন্য প্রতি মাসেই হয়তো বই, নয়তো ছাতা, নয়তো কাপড় কিনতে হতো। কারণ, তাঁর প্রাণপ্রিয় বড়ো খোকা এগুলো দরিদ্রদের মাঝে বিলিয়ে দিতেন। এমনকি দূরের শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রতি বেলাতেই ঘরে খাবার খেতে চলে আসতেন। খোকার ভাগেরটাই খোকা সবাইকে নিয়ে ভাগ করে খেলেও তাঁর দাদি জানান, আদরের খোকার জন্য সে সময় থেকেই তিনি ভাগে একটু বেশিই রেখে দিতেন। তাঁর খোকাতো কখনও একলা খেতে বসতো না।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এতো কিছুর পরও আমার দাদি কোনদিনও এতটুকু রাগ করেননি এবং আমার দাদা-দাদি তাঁকে এভাবেই মানুষ করে তোলেন। যে কারণে তাঁর মনটা হয়েছিল অনেক বড়ো, অনেক উদার এবং দেশের প্রতি অনেক দায়িত্ববান।’
বঙ্গবন্ধু তনয়া বলেন, অন্যায়ের প্রতিবাদ করে দারিদ্র্যের প্রতি অসম্ভব একটি সহানুভূতি নিয়ে এভাবেই জাতির পিতা বড়ো হয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা আমাদের একটি স্বাধীন দেশ দিয়েই ক্ষান্ত হননি। স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ে তুলেছিলেন। স্বাধীনতার পর সংবিধান দিয়েছেন এবং মেয়েদের জন্য মাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষাকে অবৈতনিক করেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ার সময় খাদ্যাভাব, টাকার অভাব, তারপরেও তিনি শিক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতেন। ২৬ হাজার ৯৬টি স্কুল জাতীয়করণ করে শিক্ষকদের চাকরিকে তিনি জাতীয়করণ করে দেন।
বঙ্গবন্ধু শিশুদের অত্যন্ত ভালোবাসতেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি ছোট্ট শিশুদের সবসময়ই মনে করতেন এই শিশুরাইতো একদিন মানুষের মতো মানুষ হবে। কাজেই তাদের প্রতি ভালোবাসা ছিল তাঁর অসাধারণ।
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুৃ শিশুদের জন্য ১৯৭৪ সালে শিশু অধিকার আইন পাস করেন। আজকে আমরা যাই করছি জাতির পিতার পদাংক অনুসরণ করেই করে যাচ্ছি। আমরা ৩৬ হাজারের ওপর স্কুল জাতীয়করণ করেছি। আমরা শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজিয়ে প্রাক-প্রাইমারী শিক্ষার ব্যবস্থা করেছি। প্রত্যন্ত পাহাড়ি অঞ্চলে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য আনন্দ স্কুল করে দিয়েছি। বিনা পয়সায় বই দিচ্ছি। যাতে বাবা-মাকে এই বইয়ের বোঝা টানতে না হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে ১ কোটি ৩০ লাখ বৃত্তি-উপবৃত্তি দিচ্ছি, ‘মায়ের হাসি’ নামক প্রকল্পের মাধ্যমে সমস্ত বৃত্তির টাকাটা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মায়ের হাতে আমরা পৌঁছে দিচ্ছি। আর যে মা স্কুলে বাচ্চাকে পাঠাবে সেই মাও একটি ভাতা পাচ্ছেন। আমরা সেই ব্যবস্থাটা করে দিচ্ছি যেনোÑ একটা শিশুও স্কুলের বাইরে না থাকে।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় দেশকে ভিক্ষুকমুক্ত করার প্রসংগে বলেন, আমরা বাংলাদেশটাকে ভিক্ষুক মুক্ত করতে চাই। এ জন্য প্রশাসনকে আমরা ইতোমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছি-প্রতিটি এলাকায় কেউ যেনো ভিক্ষাবৃত্তিতে জড়িয়ে না পড়ে। সেই সাথে আরেকটি জিনিস আমরা করার পদক্ষেপ নিয়েছি- একটা শিশুও রাস্তায় ঘুরবে না। স্কুলে যাবে এবং পড়াশোনা করবে। পড়াশোনার সুযোগ আমরা করে দিচ্ছি। কোন পথশিশু বলে কোন শিশু থাকবে না, টোকাই বলে কেউ থাকবে না। প্রত্যেকটা ছেলে-মেয়ে লেখাপড়া শিখবে এবং যাতে কাজ করে খেতে পারে, তার বন্দোবস্ত আমরা করে দিচ্ছি। কারণ, সবাই উচ্চশিক্ষা পাবে তা নয়, লেখাপড়ার মধ্যদিয়ে কে কোন ধরনের কাজ করবে সেই সুযোগও আমরা করে দিতে চাই।
শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার শিশু নির্যাতন ও শিশু পাচার বন্ধে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এ জন্য বিশেষ আইনও করেছে এবং স্কুলে যেনো বাচ্চারা থাকে সে জন্য স্কুলগুলোতে টিফিনেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আজকের যে শিশুÑ তারাই আগামী দিনের ভবিষ্যত। তারাই আগামীর দেশকে গড়ে তুলবে এবং জাতির পিতা সবসময় যেটা বলতেন- আমি সোনার বাংলা গড়তে চাই। সে জন্য আমার সোনার ছেলে-মেয়ে দরকার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের একটাই লক্ষ্য বাংলাদেশ হবে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ। আজকে আল্লাহর রহমতে দেশে খাদ্যাভাব নাই। আমরা শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার কমিয়েছি। প্রাইমারী স্কুল পর্যায়ে শতভাগ শিশু আজকে বিদ্যালয়মুখি হয়েছে এবং কোন এলাকায় যদি দেখা যায় শিশুরা বিদ্যালয়ে যাচ্ছে না সে জন্য যথাযথ পদক্ষেপ আমরা নিচ্ছি।
তিনি বলেন, সব থেকে বড় কথাÑ শিশুদের সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে হবে। শুধু খাদ্য নয়Ñ তার সঙ্গে পুষ্টিরও ব্যবস্থা থাকবে। সেই সাথে খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক চর্চারও বন্দোবস্ত করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় প্রাইমারী স্কুল পর্যায়ের মেয়েদের জন্য তাঁর সরকারের উদ্যোগে চালুকৃত বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুননেছা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট এবং ছেলেদের জন্য বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজনের কথা উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, রচনা প্রতিযোগিতা এসবের আরো সম্প্রসারণ করতে হবে। কারণ, আমাদের ছেলে-মেয়েরা যেনো কোন কারণে বিপথে না যায়।
তিনি বলেন, এখানে অভিভাবক এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন, আমাদের মসজিদের ইমাম, ওলামা-মাশায়েখগণসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার লোকজন রয়েছেন। আমি একটা অনুরোধ সকলকেই করবো যে, বাংলাদেশকে একটি শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে আমরা গড়ে তুলতে চাই। অনেক চক্রান্ত-ষড়যন্ত্রের মোকাবেলা আমাদের করতে হয়। কিন্তু আমরা এ দেশের মানুষ যদি ঐক্যবদ্ধ থাকি তাহলে সকল ষড়যন্ত্রই মোকাবেলা করতে পারবো।
তিনি বলেন, আমি সকলের কাছে আহবান জানাবো- প্রত্যেক অভিভাবক ও শিক্ষক দেখবেন তাদের ছেলে-মেয়ে কাদের সঙ্গে মিশে। তারা বিপথে যাচ্ছে কি-না। কোনরকম মাদকাসক্তি বা জঙ্গিবাদের পথে যাচ্ছে কি-না তা দেখবেন। ছলে-মেয়েরা স্কুলে অনুপস্থিত কি-না তা শিক্ষকরাও লক্ষ্য রাখবেন এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এ সময় শিক্ষার্থীদের চরিত্র গঠনেও ভূমিকা রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী শিক্ষক সমাজের প্রতি আহবান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করেছি। তাই বলে কারো মধ্যে ধর্মান্ধতা যেনো না আসে।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ইসলাম শান্তির ধর্ম উল্লেখ করে কোন ধর্মই মানুষকে খুন করার কোনও অধিকার দেয়নি বলেও উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় ’৭৫-এর বিয়োগান্তক অধ্যায় স্মরণ করে বলেন, আমরা চাই না আর কোন ছেলে-মেয়ে এভাবে একই দিনে পিতা-মাতা ও স্বজনহারা হোক।
তিনি বলেন, আমরা চাই বাংলাদেশ এমনভাবে গড়ে উঠবে যার স্বপ্ন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেখেছিলেন। প্রতিটি মানুষ সুন্দরভাবে বাঁচবে এবং উন্নত জীবন পাবে। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা যখনই ক্ষমতায় এসেছি দেশকে গড়ে তোলার চেষ্টা করেছি। ইতোমধ্যে আমরা সে ব্যবস্থা নিয়েছি এবং ভবিষ্যতে আরো উন্নত-সমৃদ্ধভাবে মানুষ বাঁচার সুযোগ পায়, সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।
শেখ হাসিনা আবেগাপ্লুত কন্ঠে বলেন, জাতির পিতা এ দেশের মানুষকে গভীরভাবে ভালোবাসতেন। আমিতো বলবো, সন্তান হিসেবে আমরা তাঁকে কাছে পাইনি। তাঁর ¯েœহ-ভালোবাসা পেয়েছি। তবে, আমাদের থেকেও তিনি গভীরভাবে ভালোবাসতেন এই বাংলার মানুষকে। এটাই আমি অন্তত বলতে পারি। তিনি দেশের মানুষকে ভালোবেসেছিলেন। আর এ দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে গিয়ে তিনি জীবন দিয়ে গেছেন। তাই তাঁর অসমাপ্ত কাজ, বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলার দায়িত্ব আমাদেরই।
প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর ৯৭তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস দিবসটি উপলক্ষ্যে স্মারক ডাক টিকেটও অবমুক্ত করেন।
পরে ‘বাঙালি পরশমনি’ শীর্ষক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও উপভোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

বাংলাদেশ শীর্ষ খবর