ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমেরিকাকে এবার সরাসরি সতর্কবার্তা দিলেন চীনের প্রধানমন্ত্রী। বুধবার চিনের বার্ষিক পার্লামেন্ট অধিবেশন ‘ন্যাশনাল পিপল’স কংগ্রেস’-এর শেষ দিনে গ্রেট হল অব দ্য পিপল-এ দেয়া ভাষণে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং আমেরিকার উদ্দেশে স্পষ্ট হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ‘কোনও বাণিজ্যিক যুদ্ধ শুরু হোক, তা আমরা চাই না।’
চীনের সঙ্গে বাণিজ্যিক যুদ্ধে জড়ালে যুক্তরাষ্ট্র খুব ভুল করবে, এমনই বার্তাই দিয়েছেন কেকিয়াং।
এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর বৈঠক হওয়ার কথা। ফ্লোরিডার মার-এ-লাগো রিসোর্টে ৬-৭ এপ্রিল ট্রাম্প-জিনপিং বৈঠকে বসতে চলেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাঝেমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রে চীনা পণ্যের আমদানির ওপর চড়া শুল্ক বসানোর হুমকি দেয়া হচ্ছে। চীনের ন্যাশনাল পিপল’স কংগ্রেসের শেষ দিনে এ নিয়েই মুখ খোলেন চীনা প্রধানমন্ত্রী। দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যিক সম্পর্ক নষ্ট করা নয়, আরও জোরদার করার লক্ষ্যেই এগনো উচিত যুক্তরাষ্ট্র-চীনের, এমনই বার্তা দিয়েছেন তিনি।
কেকিয়াং-এর ভাষায়: ‘এই সম্পর্ক শুধু চীন আর যুক্তরাষ্ট্রের জন্যেই গুরুত্বপূর্ণ নয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্যও এই সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
চীন প্রধানমন্ত্রীর বার্তা হল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চীনের বিরুদ্ধে কোনও অদৃশ্য বাণিজ্যিক অবরোধ তৈরি করতে চাইলে তার ফল ভাল হবে না। চীনের সঙ্গে সংঘাতে জড়ালে গোটা বিশ্বকে তার ফল ভুগতে হবে, প্রচ্ছন্নভাবে এমনটাই বলতে চেয়েছেন কেকিয়াং।
এপ্রিলে শি জিনপিং-এর সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের যে বৈঠক হওয়ার কথা, সেখানে অনেকগুলো বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে বলে কূটনৈতিক মহল সূত্রের খবর। আমেরিকা ও চিনের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্কের অবনতি নিয়ে কথা তো হবেই, দক্ষিণ চিন সাগর, তাইওয়ান এবং ক্রমশ উত্তপ্ত হতে থাকা কোরীয় ইস্যু নিয়েও কথা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। সেই বৈঠকের আগে ট্রাম্পকে যে খুব বেশি চটানো যাবে না, তা অবশ্য বেজিং ভালই জানে। তাই চীনা প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে চীন-মার্কিন সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে বেশ কিছু ইতিবাচক কথাও বলেছেন।
চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে তিনি অত্যন্ত আশাবাদী এবং এই সম্পর্ক আরও ‘উজ্জ্বল’ হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।