বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, প্রচলিত বাণিজ্যের পাশাপাশি দেশে ই-বাণিজ্য বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ডিজিটাল প্রতারণার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিদের নিয়ে কমিটি গঠন করে এসব ক্ষেত্রে ভোক্তা অধিকার রক্ষায় প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে সরকার।
বুধবার ঢাকার কাওরান বাজারে টিসিবি মিলনায়তনে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর ও কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) আয়োজিত “বিশ^ ভোক্তা অধিকার দিবস-২০১৭” উদযাপন উপলক্ষে সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম লস্করের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব শুভাশীষ বসু, ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমান, এফবিসিসিআই-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মাহবুবুল ইসলাম এবং ই-ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল ওয়াহেদ তমাল।
এবারের “বিশ^ ভোক্তা অধিকার দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো “ভোক্তার আস্থাশীল ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ি”। বিষয়ের ওপর সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বেসিস-এর সভাপতি ও বিজয় বাংলা সফটওয়্যারের জনক মোস্তফা জব্বার।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিকে দু‘টি প্রতিশ্রুতি দিয়ে দেশ পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন। বাংলাদেশকে ডিজিটাল এবং মধ্য আয়ের দেশে পরিনত করা। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন আর স্বপ্ন নয় বাস্তব। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে নি¤œমধ্য আয়ের দেশে প্রবেশ করেছে। দেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে ২০২১ সালে বাংলাদেশ মধ্য আয়ের দেশে রূপান্তরিত হবে।
তিনি বলেন, দেশের ভোক্তারাও ডিজিটাল সুবিধা ভোগ করছেন। ই-বাণিজ্যের জনপ্রিয়তা বেড়েই চলছে। এ ক্ষেত্রে যাতে ভোক্তা অধিকার বঞ্চিত না হন, সে জন্য সরকার সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। একসময় দেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের খাদ্যের অভাব ছিল, আজ দেশে ১৬ কোটি মানুষ, আবাদি জমির পরিমাণ কমেছে কিন্তু প্রয়োজনীয় খাদ্যের অভাব নেই। বর্তমান সরকারের কৃষিবান্ধব নীতি এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে দেশে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়েছে। বাংলাদেশ এখন বিশে^ উন্নয়নের রোল মডেল।