বিচার দাবিতে হেযবুত তওহীদের পাঁচ দাবি

বিচার দাবিতে হেযবুত তওহীদের পাঁচ দাবি

নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে সংগঠনের দুই নেতার ওপর হামলার ঘটনায় পাঁচ দফা দাবি উপস্থাপন করেছে হেযবুত তওহীদ। মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচা ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়।

দাবিগুলো হলো- আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হোক এবং দ্রুত বিচার করে শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। যে না-ঠিকানাবিহীন, মিথ্যা ও উসকানিমূলক তথ্য সংবলিত হ্যান্ডবিলটি বিতরণের মাধ্যমে এই ভয়াবহ ঘটনাটি ঘটানো হলো, সেটা কোথায় রচনা হয়েছিল, কারা রচনা করেছিল, কারা সেগুলো মসজিদে মসজিদে বিতরণ করেছিল তাদের শনাক্ত করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসা হোক।

সংগঠনের নির্দোষ আহত সদস্যদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার পর তাদের বিরুদ্ধেই ষড়যন্ত্রমূলকভাবে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা হোক। এখনও সন্ত্রাসীরা ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ক্রমাগতভাবে হত্যার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে, এ ব্যাপারে দ্রুত আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক। ওই ঘটনায় ভস্মীভূত ঘর পুনর্নির্মাণ ও ক্ষতিগ্রস্ত হেযবুত তওহীদ সদস্যদের ক্ষতিপূরণ প্রদান ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হোক।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, হামলার ঘটনায় মোট ৮৩ জন আসামির মধ্যে অল্প কয়েকজনকে এখন পর্যন্ত আইনের আওতায় আনা হয়েছে। নুরুল আলম মুন্সী, জহিরসহ বহু চিহ্নিত আসামিকে গ্রেফতার করা হয়নি। এমনকি গ্রেফতাররা সহজেই জামিনে বের হয়ে এলাকায় দাপটের সাথে ঘুরে বেড়াচ্ছে, হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। যেকোনো মুহূর্তে আবারও ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটাতে পারে।

মামলার প্রধান আসামিসহ কোনো আসামিকেই আজ পর্যন্ত রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। সংগঠনের দুই সদস্যকে প্রকাশ্য দিবালোকে শত শত মানুষের সামনে গলায় ছুরি চালিয়ে জবাই করল, কারা তাদের হাত-পায়ের রগ কেটে দিল? কারা পেট্রল ঢেলে অগ্নিসংযোগ করল? কারা অস্ত্র অর্থ সরবরাহ করল, কারা বিভিন্ন জেলা থেকে সন্ত্রাসীদের ভাড়া করে আনল।

বাংলাদেশ