অভিবাসন খাতের অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) প্রতিবেদনকে বানোয়াট বলেছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি।
টিআইবির প্রতিবেদনকে মন্ত্রণালয় বা এই খাতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমরা এই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ পাঠাব।
মঙ্গলবার প্রবাসী কল্যাণ ভবনে প্রবাসীকল্যাণবিষয়ক প্রতিবেদকদের সংগঠন রিপোর্টারস ফর বাংলাদেশি মাইগ্রেন্টস’র (আরবিএম) নব গঠিত কমিটির সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি একথা বলেন।
প্রতিবেদনটি সম্পর্কে প্রবাসী কল্যাণ সচিব বেগম শামছুন্নাহার বলেন, আমরা সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি মন্ত্রণালয়ের সব বিভাগীয় প্রধানদের কাছে পাঠিয়েছি। তারা যাচাই-বাছাই করে মতামত দেয়ার পরে টিআইবি প্রতিবেদনের প্রতিবাদ পাঠাবো।
বাংলাদেশ থেকে শ্রম অভিবাসন প্রক্রিয়ায় সুশাসনের প্রচণ্ড অভাব রয়েছে দাবি করে সম্প্রতি ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে বিদেশগামী পুরুষদের ৯০ শতাংশই দুর্নীতি ও অনিয়মের শিকার। আর ভিসা বা চাহিদাপত্র কিনতে শুধু ২০১৬ সালেই ৫ হাজার ২৩৪ কোটি টাকা পাচার হয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, দালালদের প্রাধান্যে বাংলাদেশ থেকে শ্রম অভিবাসনের প্রক্রিয়াটি জটিল। এখানে প্রতিবেশী যেকোনো দেশের চেয়ে বিদেশ যেতে বাংলাদেশিদের বেশি খরচ হয়।
মালয়েশিয়ার বাজারে মাত্র ১০ রিক্রুটিং এজেন্সি দিয়ে শ্রমিক রফতানির বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, এখানে সুবিধা করতে না পেরে তারা ওইখানে (মালয়েশিয়া) গিয়ে সিন্ডিকেট করেছে।
তবে সচিব বেগম শামছুন্নাহার বলেন, কোন দেশে কয়টি এজেন্সি শ্রমিক পাঠাবে তা নির্ভর করে চাহিদা সংগ্রহের ওপরে। আর চাহিদা সংগ্রহ এজেন্সিগুলোর কাজ। আমরা মালয়েশিয়ার কাছে বৈধ সব এজেন্সির তালিকা পাঠিয়েছিলাম। সেখান থেকে তারা এই ১০টি এজেন্সিকে পছন্দ করেছে।
দুই দেশের প্রাইভেট সেক্টরের কারণে জিটুজি পদ্ধতিতে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠানোর প্রক্রিয়া ব্যর্থ হয়েছে বলেও জানান শামছুন্নাহার।
তিনি বলেন, এরপরেই প্রাইভেট সেক্টরকে অন্তর্ভুক্ত করে জিটুজি প্লাস পদ্ধতিতে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠানো হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) মহাপরিচালক সেলিম রেজা এবং মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. মুহসীন চৌধুরী।