দেশের ব্যাংকগুলোতে কৃষকদের খোলা ১০ টাকার হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯০ লাখ ৪৩ হাজার ৫৮৯। যার বিপরীতে জমার পরিমাণ ২২৩ কোটি টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আর্থিক অন্তর্ভুক্তির আওতায় খোলা বিশেষ হিসাবের ত্রৈমাসিক অগ্রগতি প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
তথ্যমতে, কৃষকদের মোট ১০ টাকার হিসাবের মধ্যে ১৮ লাখ ৬০ হাজার ২২৫টিতে ভর্তুকি দেয়া হয়েছে। এসব হিসাবে জমার পরিমাণ ছিল ৪৪ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।
ব্যাংকিং সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থায় ১০, ৫০ ও ১০০ টাকার বিনিময়ে একাউন্ট খোলার সুযোগ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ২০১০ সাল থেকে একের পর এক নির্দেশনার মাধ্যমে কৃষকসহ আর্থিক সেবাপ্রত্যাশী জনগোষ্ঠীর জন্য এ ধরনের একাউন্ট খোলা হচ্ছে। এসব হিসাব চালু রাখতে ২০১৫ সালে ২০০ কোটি টাকার একটি পুনঃঅর্থায়ন তহবিল করা হয়েছে। যেখান থেকে মাত্র সাড়ে ৯ শতাংশ সুদে ঋণ নেয়ার সুযোগ রয়েছে।
তথ্য অনুযায়ী, ১০ টাকার ২০ হাজার ৭০১টি হিসাবধারীর মাঝে বাংলাদেশ ব্যাংক তার নিজস্ব তহবিল থেকে পুনঃঅর্থায়নকৃত ঋণ বিতরণ করেছে ৪৪ কোটি ২৫ লাখ টাকা।
ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে সব তফসিলি ব্যাংকে বিভিন্ন খাতের মোট বিশেষ ব্যাংক হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক কোটি ৬৭ লাখ ৫৫ হাজার ২৫৮। এসব হিসাবে জমার পরিমাণ এক হাজার ৩৭৩ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধাদের পুঞ্জীভূত বিশেষ ব্যাংক হিসাবের সংখ্যা দুই লাখ ১৮ হাজার ৫৯৩টি। এসব হিসাবে জমার পরিমাণ ২১১ কোটি টাকা।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, সুবিধাবঞ্চিত প্রান্তিক চাষিদের ব্যাংকিং সেবার আওতায় আনতে তফসিলি ব্যাংকগুলো ১০ টাকা হিসাব খোলা শুরু করে। পরে মুক্তিযোদ্ধা, ছাত্র, বয়স্কভাতা, বিভিন্ন প্রান্তিক লোকজন এই হিসাব খোলার সুযোগ পান। জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্মনিবন্ধন সনদ, কৃষি সহায়তার কার্ড নিয়ে এসব হিসাব খোলা যায়।