ইমেজ রক্ষায় আদালতের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে রাজধানীর হাতিরঝিল থেকে ভবন সরিয়ে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান।
বিজিএমইএ ভবন ভাঙার বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের প্রতিক্রিয়ায় সংস্থাটির সভাপতি এ কথা জানান।
রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা থেকে কার্যালয় সরাতে ছয় মাস সময় বেঁধে দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। এ সময়ের মধ্যেই ভবনটি ভাঙতে হবে। এ বিষয়ে সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আমরা সবসময় আদালতের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। এ ভবন না সরালে দেশে-বিদেশে ইমেজ সংকট তৈরি হবে। তাই যত দ্রুত চলে যাব ইমেজ সংকট থেকে ততই বেঁচে যাব।
তিনি বলেন, সরকার আমাদের জন্য উত্তরায় যে জায়গা দিয়েছে আমরা সেখানে যত দ্রুত সম্ভব কার্যালয় সরিয়ে নেব।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ রোববার বিজিএমইএ’র আবেদন নিষ্পত্তি করে ‘ছয় মাসের মধ্যে ভবন ভাঙতে হবে’ বলে রায় দেন।
এর আগে, আইন না মেনে গড়ে তোলা বিজিএমইএ’র ১৬তলা ভবন ভাঙতে রায় দেন সর্বোচ্চ আদালত। ওই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে (রিভিউ) বিজিএমইএ’র করা আবেদন খারিজ হয়। অফিস অন্যত্র স্থানান্তরে ক’দিন সময় লাগবে, তা জানিয়ে বিজিএমইএ’কে আবেদন করতে বলেন সর্বোচ্চ আদালত। বিজিএমইএ তিন বছর সময় চেয়ে আবেদন করে।
২০১১ সালের ৩ এপ্রিল হাইকোর্টের রায়ে বিজিএমইএ ভবন ‘হাতিরঝিল প্রকল্পে একটি ক্যানসারের মতো’ উল্লেখ করে রায় দেন। একই সঙ্গে রায় প্রকাশের ৯০ দিনের মধ্যে ভবন ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে বিজিএমইএ।