প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপির নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা নাকি ভয়ে রাস্তায় নামতেই পারে না। রাজপথে নামতে এতই যদি ভয় থাকে, তাহলে রাজনীতি কেন? অবশ্য এটা তাদের অভ্যাস। তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতাকে ভোগের বস্তু মনে করে। তারা যখনই ক্ষমতায় এসেছে, তখনই অর্থসম্পদের মালিক হয়েছে। মুষ্টিমেয় কিছু লোককে অর্থসম্পদের মালিক করেছে। যারা অর্থসম্পদের মালিক হয়েছে, তাদের জোরে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করেছে। এটা ছাড়া তারা আর কিছুই করেনি।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আকতারের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা, যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বিরোধী দলে থাকতে যুব মহিলা লীগের নেতা-কর্মীদের নির্যাতনের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বিরোধী দলে থাকতে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম চলাকালে যুব মহিলা লীগের মেয়েদের ওপর অমানষিক নির্যাতন চলেছে। আজকে আমরা ক্ষমতায় আছি। কই, বিএনপির ওই রকম নেতা-কর্মী বা মহিলাদের ওপর নির্যাতন করি না। করলে তো করতে পারি, করতে পারতাম। কিন্তু আমরা তা করি না। নির্যাতনের অভ্যাস বিএনপির আছে। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলনে দেশের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ৯৩ দিন গুলশান কার্যালয়ের অবস্থানের বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি নেত্রী অফিসে বসে হুকুম দিল অত্যাচার কর, মানুষ মার, আগুনে মানুষ পোড়াও। সবকিছু কর যাতে সরকার উৎখাত হয়। উনি প্রতিজ্ঞা করে বসেছিলেন, এই সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরে যাবেন না। আমি যদি ওনাকে জিজ্ঞাসা করি, উনি ঘরে ছিলেন, না রাস্তায় ছিলেন? উনি কী জবাব দেবেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা অত্যাচার নির্যাতন করে সরকার উৎখাত করতে চেয়েছিল। কিন্তু জনগণ সাড়া দেয়নি। জনগণই তাদের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ ঠেকায়। তখন এটা বন্ধ হয়। দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, নারীর উন্নয়নে, নারীর ক্ষমতায়নে আমরা ব্যাপক কাজ করে যাচ্ছি। বিদেশেও নারীরাও যাচ্ছে। তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও সরকার করছে। নারীদের এ উন্নয়নের কথা জনগণকে জানানোর জন্য মহিলা নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।