দৌড়ে টেকনাফ-তেতুলিয়ায় আরাফাত

দৌড়ে টেকনাফ-তেতুলিয়ায় আরাফাত

প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে দৌড়ে টেকনাফ থেকে তেতুলিয়ায় পৌঁছেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ১৬তম ব্যাচের ছাত্র মোহাম্মদ সামছুজ্জামান আরাফাত।

‘দ্য গ্রেট বাংলাদেশ রান- রান ফর হেলদি বাংলাদেশ’ স্লোগানে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি টেকনাফের নোয়া পাড়া পরিবেশ টাওয়ার থেকে  এ যাত্রা শুরু করে ৬ মার্চ তেতুলিয়ার বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্টে গিয়ে শেষ হয় আরাফাতের যাত্রা।

এসময় স্থানীয় জনতা তাকে উষ্ণ অর্ভ্যথনা জানায়। এই দীর্ঘ টেকনাফ থেকে তেতুলিয়ায় যাওয়ার জন্য প্রতিদিন গড়ে ৫০ কিলোমিটারেরও বেশি পথ দৌড়াতে হয়েছে তাকে। লক্ষ্যে পৌঁছাতে তিনি ২০ দিন সময় নেন। এই ২০ দিনে তিনি এক হাজার কিলোমিটারেরও বেশি পথ দৌড়ে পাড়ি দেন।

tetulia

শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতিতে এক সংবাদ সম্মেলনে দীর্ঘ এ দৌড়ের বিস্তারিত তুলে ধরেন আরাফাত।

আরাফাতের ভাষ্যমতে, এই যাত্রা মোটেও সহজ ছিল না তার জন্য। তাকে বিভিন্ন প্রতিকূল অবস্থার সম্মুখীন হতে হয়। হাঁটুতে আঘাত নিয়ে তিনি এই দীর্ঘ পথ পাড়ি দেন এবং নির্মানাধীন রাস্তায় দৌড়ানোটাও ছিল অনেক কষ্টসাধ্য। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়ায় যমুনা সেতু পাড় হওয়া। নিরাপত্তাজনিত কারণে, যমুনা সেতু অতিক্রম করার অনুমতি পাননি তিনি। সাঁতরে যমুনা নদী পাড়ি দিয়েছেন তিনি।

আরাফাত চান একদিন অলিম্পিকে সোনা জিতে আনবে বাংলাদেশ। নতুন প্রজন্মের কাছে খেলাধুলাকে তুলে ধরতে চান তিনি। সবাই যেন খেলাধুলাকে ভালবাসে। নিয়মিত অনুশীলন ও দৃঢ় মানসিক জোরেই এই আল্ট্রা রানার তার কাজ করেছেন। আরাফাতের এই উদ্যোগে পৃষ্ঠপোষকতা করেছে এনআরবি কমার্সিয়াল ব্যাংক।

বাংলাদেশ