সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও সদ্যপ্রয়াত রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ মিজারুল কায়েসের মরদেহ সোমবার নাগাদ দেশে পৌঁছাতে পারে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
ব্রাজিলে নিযুক্ত বাংলাদেশের এই রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ সময় শনিবার ভোর ৬টায় ব্রাজিলের রাজধানী ব্রাসিলিয়ায় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
মিজারুল কায়েসের পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তাদের সঙ্গে যোগাযোগের ভিত্তিতেই পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।
মিজারুল কায়েসের দুই মেয়ের মধ্যে বড় মেয়ে রয়েছেন ব্রাজিলেই। আর ছোট মেয়ে লন্ডনে রয়েছেন। সেখানে লেখাপড়া করেন তিনি।
ব্রাজিলে বাংলাদেশ কমিউনিটিতে কিছু আনুষ্ঠানিকতা শেষে তার মরদেহ হিমাগারে রাখা হবে।
ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ঢাকায় এসেছিলেন মিজারুল কায়েস। ৭ ফেব্রুয়ারি ব্রাজিলের সাও পাওলোর উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন তিনি। সেখানে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ার পর ১৩ ফেব্রুয়ারি শ্বাসকষ্টজনিত কারণে ব্রাসিলিয়ার একটি হাসপাতালে ভর্তি হন মিজারুল কায়েস।
২০০৯ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত পররাষ্ট্র সচিবের দায়িত্ব পালন করেন মিজারুল কায়েস। তিনি যুক্তরাজ্যে ও মালদ্বীপে বাংলাদেশের হাইকমিশনার এবং রাশিয়ায় রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
পেশাদার কূটনীতিক মিজারুল কায়েস জেনেভা, টোকিও এবং সিঙ্গাপুরেও বাংলাদেশ মিশনে বিভিন্ন পদে কাজ করেছিলেন।
এ ছাড়া তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সার্ক, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, অর্থনৈতিক বিষয়াবলি, আনক্লস ও বহিঃপ্রচার অনুবিভাগের মহাপরিচালক হিসেবেও দায়িত্বও পালন করেন। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস ১৯৮২ ব্যাচের কর্মকর্তা মিজারুল কায়েস স্ত্রী ও এক কন্যা সন্তান রেখে গেছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করেই তার মরদেহ দেশে আনার বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।