ভারতের পাঁচ রাজ্যের বিধানসভার অধিকাংশ মসনদে বসতে যাচ্ছে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। সর্বশেষ তথ্য বলছে, দেশটির সর্ববৃহৎ রাজ্য উত্তরপ্রদেশসহ এখন পর্যন্ত প্রাথমিক ফলাফলে তিনটিতে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি।
উত্তরপ্রদেশের বিধানসভায় মোট আসন রয়েছে ৪০৩টি। ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছানোর জন্য ২০৩ আসনের প্রয়োজন হলেও বিজেপি পেয়েছে ৩০৬টি আসন।
মোদির নোট বাতিল পদক্ষেপের প্রভাবে এই নির্বাচনে বিজেপি ভরাডুবির মুখোমুখি হতে পারে বলে বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করলেও তা উড়িয়ে দিয়েছেন ভোটাররা। পাঁচ প্রদেশের নির্বাচনের আগে র্যালিতে অংশ নিয়ে মোদি বলেছিলেন, ‘আমার ওপর ভরসা করুন, ভোট দিন, তাহলেই কাজ শেষ।’
মোদির এই আহ্বানে ভোটাররা যে সাড়া দিয়েছেন তা নির্বাচনী ফলই বলছে। উত্তরাখন্ডে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। ৭০ আসনের মধ্যে বিজেপি জয় পেয়েছে ৫৫টিতে। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য ৩৬ আসনের জয়ের প্রয়োজন। এই প্রদেশ কংগ্রেস পেয়েছে ১২টি আসন। বিএসপি পেয়েছে একটি ও অন্যান্য দল চারটি আসন পেয়েছে।
পাঞ্জাবে এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস। ১১৭টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস ৬৫টিতে জিতেছে। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য ৫৯টি আসনে জয়ের প্রয়োজন ছিল। আপ ও আকালি দল যথাক্রমে ২৫ ও ২৭টি আসনে জয় পেয়েছে।
প্রাদেশিক নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ম্যাজিক দেশটির পরবর্তী নির্বাচনের বিষয়েও অালোচনা তুলেছে। কাশ্মিরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতা ওমর আব্দুল্লাহ মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে উঠেছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে দেয়া একাধিক টুইটে সাবেক এই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই মুহূর্তে ২০১৯ সালের নির্বাচনের কথা ভুলে যান। ভারতে এমন কোনো নেতা নেই যিনি ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে মোদিকে হারাতে পারেন।
অপর এক টুইটে দেশটির বিরোধীদলগুলোকে তিনি ২০২৪ সালের নির্বাচনের পরিকল্পনা করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ২০১৯ ভুলে ২০২৪ সালের নির্বাচনের বিষয়ে পরিকল্পনা ও স্বপ্ন দেখা শুরু করুন।