বাংলাদেশ দলের শেষ ভরসাই ছিলেন মুশফিকুর রহীম ও লিটন দাস। তবে সবাইকে আশাহত করে ফিরে গেছেন এ দুই জনই। শুরতা করেন মুশফিক (৩২)। সান্দাকানের লেগ স্ট্যাম্পের বাইরের বল টার্ন করে আরও বাইরে যাওয়ার সময় ব্যাট চালাতে গেলে উইকেটরক্ষকের হাতে ধরা পড়েন তিনি। ফলে দলকে বড় বিপর্যয়ে ফেলে সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক।
এর ২ ওভার পর সাজঘরে ফেরেন লিটন। হেরাথের বলে স্লগ করতে গিয়ে আকাশে উঠিয়ে দেন তিনি। আর সে বল তালুবন্দি করতে কোন ভুল করেননি থারাঙ্গা।আউট হওয়ার আগে করেন ৩৫ রান। ফলে চা বিরতির আগেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়েছে বাংলাদেশ।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ১৭০ রান। ৬ রান নিয়ে উইকেটে আছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন তাসকিন আহেমদ।
শনিবার ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। সবাইকে হতাশ করে সাজঘরে ফেরেন সৌম্য (৫৩)। আউট হতে পারতেন দিনের প্রথম বলেই। তবে শর্ট লেগে তার ক্যাচ না ধরতে পারায় বেঁচে যান তিনি। তবে পরের বলে সৌম্য রক্ষণাত্মক ভঙ্গীতেই খেলতে চেয়েছিলেন। তবে বল তার ব্যাট ফাঁকি দিয়ে স্টাম্পে লাগে।
সৌম্যের বিদায়ের পর উইকেটে টিকতে পারেননি মুমিনুলও (৫)। দিলরুয়ান পেরেরার বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন তিনি। মুমিনুলের বিদায়ের রেশ না কাটতেই সাজঘরে ফিরে গেলেন তামিম (১৯)। আবার দিলরুয়ান পেরেরা। অফ স্টাম্পে পিচ করা বল ব্যাটের কানা ছুঁয়ে চলে যায় স্লিপে গুনারত্নের হাতে।
তামিমের বিদায়ের পর সবাই তাকিয়ে ছিল সাকিবের ব্যাটের দিকে। হতাশ করেন সাকিবও। হেরাথের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান এ অলরাউন্ডার। আর সাকিবের বিদায়ের পর ভরসা ছিল আরেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহর উপর। হেরাথের আর্ম বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পরে ফেরেন খালি হাতে।