ম্যাচ না জিতলেও ড্র করার সুযোগ ছিল বাংলাদেশের সামনে। চতুর্থ দিনে সে আশাও জাগিয়েছিলেন। তবে পঞ্চম দিনের শুরুতেই ব্যাটসম্যানদের আশা যাওয়ার মিছিলে হারের শঙ্কা চেপে ধরেছে বাংলাদেশকে। ইতো মধ্যেই সাজঘরে ফিরে গেছেন প্রথম সারির পাঁচ ব্যাটসম্যান। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেট হারিয়ে ১০৭ রান।
চতুর্থ দিনে লঙ্কানদের দেওয়া ৪৫৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশের দুই ওপেনার তামিম ও সৌম্য। তামিম ইকবাল ১৩ রানে এবং টি-টোয়েন্টি স্টাইলে ব্যাট করে ৫৩ রানে অপরাজিত ছিলেন সৌম্য সরকার।
পঞ্চম দিনে ব্যাট করতে নেমে শুরতেই সবাইকে হতাশ করেন সৌম্য (৫৩)। দিনের দ্বিতীয় বলেই গুনারত্নের বলে বোল্ড বাঁহাতি এই ওপেনার। আউট হতে পারতেন প্রথম বলেই। তবে শর্ট লেগ ফিল্ডার ক্যাচটি না ধরতে পারায় বেঁচে যান তিনি। পরের বলে সৌম্য ডিফেন্স করেছিলেন। তবে বল তার ব্যাট ফাঁকি দিয়ে লাগলো স্টাম্পে। এত ‘সফট ডিসমিসাল’ যে কেউই শুরুতে বুঝতে পারেননি কি হয়েছে।
সৌম্যের বিদায়ের পর উইকেটে টিকতে পারেননি মুমিনুলও (৫)। দিলরুয়ান পেরেরার পেছনে গিয়ে খেলতে এসে বল লাগলো মুমিনুলের পায়ে। প্রথম দেখাতেই মনে হয়েছে আউট। আম্পায়ারও আঙুল তুললেন। তামিমে সঙ্গে কথা বলে মুমিনুল চাইলেন রিভিউ। কিন্ত রিভিউ চেয়েও আবার হাঁটা দিলেন ড্রেসিং রুমের দিকে। মুমিনুলের বিদায়ের রেশ না কাটতেই সাজঘরে ফিরে গেলেন তামিম (১৯)। দিলরুয়ান পেরেরা। অফ স্টাম্পে পিচ করা বল ব্যাটের কানা ছুঁয়ে স্লিপে গুনারত্নের হাতে।
তামিমের বিদায়ের পর সবাই তাকিয়ে ছিল সাকিবের ব্যাটের দিকে। তবে সবাইকে হতাশ করলেন সাকিবও। হেরাথের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটের সেরা এই অলরাউন্ডার। আর সাকিবের বিদায়ের পর এলেন আর গেলেন জায়গা বাঁচাতে লড়তে থাকা মাহমুদউল্লাহ। এলেন আর গেলেন। হেরাথের আর্ম বলে এলবিডব্লিউ শূন্য রানে।
এর আগে উপুল থারাঙ্গার ক্যারিয়ারে তৃতীয় সেঞ্চুরির উপর ভর করে ২৭৪ রানে ইনিংস ঘোষণা করে স্বাগতিকরা। বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় তখন ৪৫৭ রানের বিশার এক পাহাড়।