তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে দারিদ্র্য, জঙ্গি ও লিঙ্গ-বৈষম্যের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে জিততেই হবে।
তিনি বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে আর্থ-সামাজিক খাতে নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে সমতায়নের লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
হাসানুল হক ইনু শুক্রবার আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে রাজধানীর হাতিরঝিলে ‘ঢাকা উইমেনস ম্যারাথন-২০১৭’র পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন। এর আগে সকাল সাড়ে সাতটায় দৌড় উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘সাম্প্রদায়িকতা ও কুসংস্কারের পাথরচাপা থেকে দেশের নারীসমাজকে মুক্ত করে উন্নয়নের আলোর পথে নিয়ে চলেছেন।
অতীতে রাজনৈতিক সমর্থনপুষ্ট সাম্প্রদায়িক, কুসংস্কারাচ্ছন্ন ফতোয়াবাজরা নারীদের ওপর যে অবিচারের পাথর চাপা দিয়ে রেখেছিল তা থেকে মুক্তি না পেলে নারীর ক্ষমতায়ন সম্ভব নয় উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, একারণেই শেখ হাসিনার সরকার নারী উন্নয়নের বিষয়টিকে রাজনৈতিকভাবে অগ্রাধিকার দিয়েছে।
দশ মাইল ম্যারাথনে অংশ নেয়া সকল নারীদের অভিনন্দন জানিয়ে হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘নারীরা ¯েœহ-মায়ার সাথে-সাথে শক্তি, সামর্থ্য ও দক্ষতারও প্রতীক। আজকের দীর্ঘ দৌড় তা আবার প্রমাণ করলো।’
বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার এস এম ফেরদৌস, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অভ্ প্রফেশনালসের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. কলিমুল্লাহ ও ইস্ট-কোস্ট গ্রুপের পরিচালক দিলরুবা চৌধুরী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
‘নারীর জন্য নিরাপদ ঢাকা’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজিত এই ‘ওমেরা-এলপিজি ঢাকা উইমেন্স ম্যারাথন ২০১৭তে দেশের নানা প্রান্তের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার ছয় শতাধিক প্রতিযোগী অংশ গ্রহণ করেন। এফডিসি সংলগ্ন হাতিরঝিলের প্রবেশমুখ বেগুনবাড়ি ঘাট থেকে দৌড় শুরু করে প্রতিযোগীরা দশ কিলোমিটার দীর্ঘ পথ পাড়ি দেন।