চূড়ান্তভাবে অভিশংসিত হলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট পার্ক গিউন-হাই। সংসদ থেকে অভিশংসিত হওয়ার পর উচ্চ আদালতও অভিশংসনের পক্ষে রায় দিয়ে তা বজায় রেখেছেন।
শুক্রবার (১০ মার্চ) দেশটির আদালত থেকে এ রায় ঘোষণা করা হয়। দুর্নীতির দায়ে তার এমন অপসারণকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে আখ্যা দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। ফলে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়মুক্তির সুযোগও হারালেন তিনি। দুর্নীতির দায়ে উল্টো বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। এছাড়া সাংবিধানিক আদালতের এই রায়ের ফলে আগামী মে মাসের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে দেশটির নতুন নেতা।
ইতোপূর্বে প্রেসিডেন্ট থাকা না থাকা নিয়ে সংসদে ভোটাভুটি হয়। তখন অভিশংসনের পক্ষে ভোট পড়ে ২৩৪ এবং বিপক্ষে মাত্র ৫৬।
মূলত রাজনৈতিক কেলেঙ্কারিতে নাম আসার পর পরই পার্কের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামেন দক্ষিণ কোরিয়ার হাজারো সাধারণ জনতা। ক্ষমতাকে ব্যবহার করে তার বিশ্বস্ত সহযোগী চয় সুন-সিল বিভিন্ন বিষয়ে প্রভাব খাটিয়েছেন এবং অর্থ উপার্জন করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। যদিও তিনি এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিলেন। পরে বিক্ষোভ শুরু হলে সংবাদমাধ্যমে জানান, পদত্যাগ করবেন না।
৬৫ বছর বয়সী পার্ক দেশটির প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে ২০১৩ সালে ক্ষমতা গ্রহণ করেন। তবে পারলেন না দায়িত্বের পুরোটা পালন করতে।
পার্ক গিউন-হাই ১৯৬৩ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষমতাসীন সাবেক প্রেসিডেন্ট পার্ক চুং-হি’র বড় মেয়ে।