কৃষ্ণকলি আমার স্বপ্নের চরিত্র : জলি

কৃষ্ণকলি আমার স্বপ্নের চরিত্র : জলি

ঢাকাই চলচ্চিত্রে জলির শুরুটা ‘অঙ্গার’ ছবির মাধ্যমে। এরপর ‘নিয়তি’ ছবিতে অভিনয় করে নজর কেড়েছেন। আগামীকাল শুক্রবার (১০ মার্চ) জলি অভিনীত ‘মেয়েটি এখন কোথায় যাবে’ ছবিটি মুক্তি পেতে যাচ্ছে। এই ছবিটি পরিচালনা করেছেন নাদের চৌধুরী।

জলি মনে করছেন করেন, ছবিটি তার ক্যারিয়ারের জন্য ট্রাম্প কার্ড। গ্রামীণ গল্পের এই ছবিতে নিজেকে উজার করে অভিনয় করেছেন, নিজের সবটুকু ঢেলে দিয়েছেন। তাই দর্শকদের হলে গিয়ে ছবিটি দেখার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন সম্ভাবনাময়ী এই নায়িকা।

ইমদাদুল হক মিলনের উপন্যাস একটি অবলম্বনে ‘মেয়েটি এখন কোথায় যাবে’ ছবিটি নির্মিত হয়েছে। এই কথাসাহিত্যিকের অনেক বই পড়েছেন জলি। ‘মেয়েটি এখন কোথায় যাবে’ উপন্যাসের বিশেষত্ব কী? এটা নিয়ে ছবির করার কারণই বা কী?
‘উপন্যাসটিতে গ্রামবাংলার সমাজব্যবস্থার প্রতিচ্ছবি খুব সুন্দরভাবে উঠে এসেছে। ছবিতে আমার চরিত্রের নাম কৃষ্ণকলি। হৃদয়স্পর্শী একটা গল্প, মেয়েটির করুণ পরিণতি দেখে দর্শকের মনে তার জন্য মায়া জন্মাবে’- বললেন জলি।

জলির আগের দুই ছবি গতানুগতিক নাচ-গান আর মারামারির। তৃতীয়টিতে এসে হয়েছেন উপন্যাসের নায়িকা। ক্যারিয়ারে প্রভাব লগ্নে এ ধরণের চরিত্রে অভিনয় করা কিছুটা রিস্কি না? জলি বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই অভিনয় করতে চেয়েছি। একবার যখন সুযোগ পেয়েছি, প্রতিভাটা দেখাতে চাই। গ্ল্যামারের পেছনে ছুটি না। ভালো গল্প আর চরিত্র পেলে লুফে নেব। কৃষ্ণকলি আমার স্বপ্নের চরিত্রের মতো। তাছাড়া জাজ মাল্টিমিডিয়ার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা, তারা আমার শুভাকাঙ্ক্ষী। আমাকে নিয়ে তাদের ভাবনাও কমতি নেই। সবকিছু ভেবেচিন্তেই এই চরিত্রটি হাতে নিয়েছি।’

কথার প্রসঙ্গ জুড়ে দিয়ে জলি জানালেন চোখ কপালে তোলার মত তথ্য। বলেছেন, ‘আমি এই ছবিতে মেকআপ ছাড়া অভিনয় করেছি। এমনও হয়েছে টানা ১০ দিন এক কাপড়ে শুটিং করতে হয়েছে। তবে গানগুলো ব্যতিক্রম ছিল।’

জলির কাছে যখন প্রশ্ন করা হলো এই ছবির টার্গেট দর্শক কারা তখন তিনি বললেন, ‘সব শ্রেণির দর্শককে টার্গেট করে ছবিটি বানানো হয়েছে। গল্পটা মূলত গ্রামীণ প্রেমের পারিবারিক আবহের। তাই পরিবার-বন্ধুদের নিয়ে একসঙ্গে বসে দেখার মত একটি ছবি এটি।’

ছবিতে জলির নায়ক শাহরিয়াজ। এছাড়াও অভিনয় করেছেন মামুনুর রশীদ, রাইসুল ইসলাম আসাদ, ফজলুর রহমান বাবুর মতো গুণী অভিনেতাদের সঙ্গে। এটাও একটা নাকি জলির জন্য বাড়তি পাওনা। কারণ হিসেবে তিনি বললেন, ‘সহশিল্পীরা সবাই মঞ্চ ও টেলিভিশনের কিংবদন্তি। তাদের কাছ থেকে শুটিংয়ের এক মাস যা শিখেছি, তা অভিনয় জীবনের পুরো সময়টাতোই কাজে আসবে।’

বিনোদন