মিয়ানমারের বিরোধী দলীয় গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চি প্রেসিডেন্ট থেইন সিনের সঙ্গে বৈঠক করছেন। আগামী সংসদ অধিবেশনকে সামনে রেখেই প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সু চির বুধবারের এ বৈঠক বলে জানা গেছে। আগামী সংসদ অধিবেশন শুরু হতে আর ১৫ দিন বাকি রয়েছে।
সম্প্রতি উপ-নির্বাচনে সু চি’র দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি) বিপুল বিজয় পাওয়ার পর প্রেসিডেন্ট থেইনের সঙ্গে সু চি’র এটি প্রথম বৈঠক। গৃহবন্দি থেকে মুক্তি পাওয়ার পর গত বছরের আগস্টে প্রেসিডেন্ট থেইনের সঙ্গে একবার বৈঠক করেন এই নোবেলজয়ী গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী।
উল্লেখ্য, গত ১ এপ্রিলের উপ-নির্বাচনে এনএলডি ৪৪টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে এবং ৪৩টি আসনেই তারা জয়লাভ করে।
এই ঐতিহাসিক বৈঠককে পারস্পরিক আস্থা এবং সমঝোতার ইঙ্গিতবাহী বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। মিয়ানমারের শাসনব্যবস্থা সামরিক স্বৈরতন্ত্র থেকে গণতন্ত্রের পথে উত্তরণের এটি একটি ইতিবাচক অগ্রগতি বলেই মনে করা হচ্ছে।
সেই সঙ্গে সেনা সমর্থিত সরকারের সম্প্রতি কয়েকশ’ রাজনৈতিক বন্দিকে মুক্তি দান এবং আদিবাসী বিদ্রোহীদের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা বহির্বিশ্বে বেশ ইতিবাচক সাড়া ফেলেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইতোমধ্যে মিয়ানমারের ওপর থেকে অবরোধ প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে।
এখন অনেকের বিশ্বাস, তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত সরকার যে পরিবর্তন ও সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে তাতে প্রেসিডেন্ট ও সু চি শেষ পর্যন্ত হয়ত একটি বোঝাপড়ায় উপনীত হতে সক্ষম হবেন। যদিও গত দু’দশক গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করার জন্য সু চিকে এই সরকারই গৃহবন্দি করে রেখেছিল।