জাতিসংঘের জেনেভাভিত্তিক মানবাধিকার কমিটির বৈঠকে আইসিসিপিআর) নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক চুক্তি (অনুসমর্থনকারী দেশ হিসেবে সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার রক্ষায় আন্তরিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ অঙ্গীকারাবদ্ধ।
মঙ্গলবার জেনেভায় জাতিসংঘের এই সংস্থায় বাংলাদেশ পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি এ কথা বলেন। এখানে মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আইনমন্ত্রী বাংলাদেশের জনগণের নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার রক্ষায় আরো প্রচেষ্টা চালানোর ব্যাপারে বাংলাদেশের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক চুক্তির (আইসিসিপিআর) অধীনে বাংলাদেশ পরিস্থিতির প্রাথমিক রিপোর্ট পর্যালোচনার জন্য জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিটির বৈঠকে তিনি এসব বক্তব্য তুলে ধরেন।
কমিটির বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের প্রধানের উপস্থাপনকে বিস্তৃত খোলামেলা এবং সুস্পষ্ট উল্লেখ করে মানবাধিকার কমিটির সংলাপে যুক্ত হওয়ার জন্য মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানায়।
দু’দিনব্যাপী বৈঠকে আনিসুল হক উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং জেনেভায় জাতিসংঘের স্থায়ী প্রতিনিধি, আইন ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, নির্বাচন কমিশন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বাংলাদেশ পুলিশ, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান ও কারা অধিদপ্তরের সিনিয়র কর্মকর্তা প্রতিনিধিদলে রয়েছেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে মানবাধিকার কমিটির সদস্যরা মানবাধিকার রক্ষার জন্য রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত মানবাধিকার ইস্যু বিষয়ক সুনির্দিষ্টভাবে জানতে চায়।
কমিটির প্রশ্নের মধ্যে ছিল সদ্য অনুমোদিত বাল্যবিবাহ নিয়ন্ত্রণ আইনের যৌক্তিকতা, বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ডের অভিযোগ।
আইন-শৃংখলা বাহিনীর বিরুদ্ধে নির্যাতন ও অপহরণের অভিযোগ, লেখক, ব্লগার, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীদের নিরাপত্তা।
কমিটি লেখক, ব্লগার হত্যা মামলার তদন্তের অবস্থা, বাল্যবিবাহ বন্ধে পদক্ষেপ, শিশুশ্রম, প্রতিরোধমূলক ুআটক, পুলিশের বলপ্রয়োগের অভিযোগ, নির্যাতনের অভিযোগ এবং পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু, জেলখানার পরিস্থিতি এবং মৃত্যুদ- সম্পর্কে জানতে চেয়েছে।
ধর্মীয় ও সংখ্যালঘু নৃগোষ্ঠীর অধিকার, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা, ভূমিদখলের অভিযোগের সরকারের পদক্ষেপ, সংখ্যালঘু এবং তাদের ধর্মীয় পবিত্র স্থানে হামলার বিষয় কমিটি জানতে চেয়েছে।
কমিটি নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে জানতে চেয়েছে, নির্বাচনকালীন সহিংসতা এবং অন্যান্য ধ্বংসাত্মক কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে বিচার ও তদন্ত সম্পর্কে জানতে চেয়েছে।