প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে : ওবায়দুল কাদের

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে : ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের ন্যায় ক্ষমতাসীন সরকারের প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সরকারী মুজিব কলেজের নবীণ বরণ ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
কলেজ অধ্যক্ষ জিয়া উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক ড. মাহে আলম, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খিজির হায়াত, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনকালীন সময়ে সরকার নির্বাচন পর্যবেক্ষণ ও তত্ত্বাবধান করবে। বাকি সব কাজ নির্বাচন কমিশনের অধীনেই হবে। নির্বাচন পূর্ব বা চলাকালীন সময় সহায়ক সরকারের কোন সুযোগ সংবিধানে নেই। সংবিধান ও নির্বাচন কারো জন্য অপেক্ষা করবে না। নিজ গতিতেই চলবে।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমি শিক্ষার্থী চাই, পরীক্ষার্থী চাই না। সনদ ভিত্তিক শিক্ষা কাম্য নয়। জীবিকার জন্য নয়, জীবনের জন্য শিক্ষা চাই। তরুণদের হাতে আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশ, যার রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিদ্যা এবং সততার চেয়ে বড় সম্পদ কিছু নেই। সততাই আমাদের সাহস ও শক্তি। মাদক আমাদের তরুণ সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে, তাই মাদককে না বলতে হবে।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ফুল দিয়ে নেতা-নেত্রীকে খুশি করা যায়। কিন্তু জনগনকে খুশি করা যায় না। ভালো আচরণ দিয়ে আওয়ামী লীগের নাম জনগণের হৃদয়ে লিখতে হবে। ক্ষমতা চিরদিন থাকে না। তাই ক্ষমতার দাপট দেখাবেন না। গুনাবলি, সততা, নৈতিকতা মানুষকে বড় করে। তাই লেখা পড়ার কোন বিকল্প নেই।
আগামী নির্বাচনে বিএনপির অংশ গ্রহণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে অংশ গ্রহণ না করে নিজেদের অস্তিত্ব বিপন্ন করবে এমনটা আমি মনে করি না। এ সময়ে ওবায়দুল কাদের সরকারী মুজিব কলেজের ফ্রি ওয়াই ফাই নেটওয়ার্ক উদ্বোধন করেন। পরে মন্ত্রী একই উপজেলার বামনী ডিগ্রি কলেজের নবীণ বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন।

বাংলাদেশ