রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ কিডনিকে সুস্থ রাখতে করণীয় ও বর্জনীয় সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করতে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
বৃহস্পতিবার বিশ্ব কিডনি দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে রাষ্ট্রপ্রতি এই আশা প্রকাশ করেন। বিশ্ব কিডনী দিবসে এবারের প্রতিপাদ্য হলো- ‘স্থ’ূূূলতা কিডনী রোগ বাড়ায়, সুষ্ঠু জীবনযাপনে সুস্থ কিডনী।’
আবদুল হামিদ বলেন, ‘বাংলাদেশ রেনাল এসোসিয়েশন, পেডিয়াট্রিক নেফ্রোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশ ও কিডনি ফাউন্ডেশনের যৌথভাবে দিবসটি পালনের উদ্যোগ খুবই প্রশংসনীয়। কিডনিকে সুস্থ রাখতে করণীয় ও বর্জনীয় সম্পর্কে জনগণকে জানাতে এ সব সংগঠন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে অসংক্রামক ব্যাধিতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। চিকিৎসকদের মতে জন্মগত ত্রুটি, বংশগত রোগ, স্থূলতা, নেফ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, অপর্যাপ্ত পানি পান, ব্যাথানাশক ঔষধ সেবনসহ নানাবিধ কারণে বিশ্বে ধীর গতির কিডনি বিকল রোগীর সংখ্যা ক্রমাগত বেড়ে চলেছে।’
বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, স্থূলতা আজ বিশ্বব্যাপী একটি স্বাস্থ্য সমস্যা। কিডনি রোগের প্রকোপ বৃদ্ধিতে স্থূলতা অনুঘটক হিসেবে কাজ করে। স্বাস্থ্যসম্মত জীবন পদ্ধতি অনুসরণ করে কিডনি রোগ প্রতিরোধ করা যায়।
আবদুল হামিদ বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব কিডনি দিবস-২০১৭’ পালনের উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং ‘বিশ্ব কিডনি দিবস-২০১৭’ উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।