কোনো নারী বিপদে পড়লে ১০৯ নম্বরে ফোন করলেই প্রয়োজনীয় সহায়তা পাবেন বলে জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি।
বুধবার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, ১৯৭২ সালেই সংবিধানে নারী-পুরুষের সমতার কথা বলা হয়েছিলো। নারীদের সুযোগ দিলে তারা তাদের যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারেন। বিমানবাহিনী, সেনাবাহিনী থেকে খেলাধুলা কোথায় নারীরা নেই? সর্বক্ষেত্রে নারীরা কাজ করছেন।
১৮টি ট্রেডে নারীদের প্রশিক্ষণ দিতে ২৫০ কোটি টাকার প্রকল্প একনেক সভায় অনুমোদিত হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, নারীর প্রতি সহিসংসতা এখন আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ। নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ করতে সমাজের মানুষের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন আনতে হবে। কোনো নারী বিপদে পড়ে ১০৯ নম্বরে ফোন করলেই প্রয়োজনীয় সহায়তা পাবেন। দারিদ্র্য বাল্য বিয়ের বড় কারণ। আমরা যে আইন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি তাতে আগামী ২ বছরের মধ্যে বাল্যবিয়ের হার অর্ধেকে নেমে আসবে।
অনুষ্ঠানে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি রেবেকা মমিন বলেন, বর্তমান সরকারের নীতিমালা, বিধিমালা নারীর অধিকারকে মর্যাদা দিয়ে প্রণয়ন করা হয়েছে। আমাদের উদ্দেশ্য সকল নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। তাদের আয়-উপার্জনের ব্যবস্থা করা। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীদের জন্য নিয়ে এসেছে ‘জয়িতা’ প্রকল্প।
ইউএন উইমেন বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ক্রিস্টিন হান্টার বলেন, বাংলাদেশ নারী ক্ষমতায়ন উন্নয়নে এগিয়ে গেছে। এটি সত্যি আনন্দের বিষয়। গার্মেন্ট কারখানার ফ্লোরে নারীদের উপস্থিতি লক্ষণীয়। সরকারের উচিত মেয়ে শিশুদের উন্নয়নে আরও কাজ করা।
অনুষ্ঠানে পাঁচজন নারীকে ‘জয়িতা’ সম্মাননা দেওয়া হয়। পুরস্কৃতদের ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট এবং ৫০ হাজার টাকার চেক দেওয়া হয়। সম্মাননাপ্রাপ্ত পাঁচ নারী হলেন, শার্লী মেশৈপ্রু, হোসনে আরা, ফিরোজা বেগম, মর্জিনা বেগম, আরিফুল ইসলাম ময়ুরী।