ভুয়া চাকরি কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে দলীয় সমর্থন খুঁইয়ে ফেলায় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট পদে লড়ার পথ বন্ধ হয়ে গেছে দেশটির মধ্য-ডানপন্থী রিপাবলিকান প্রার্থী ফ্রাঁসোয়া ফিলনের। তার স্থলাভিষিক্ত হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দলের ভেতর থেকে চাপ থাকা সত্ত্বেও প্রেসিডেন্ট পদে লড়বেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন দলটির নেতৃস্থানীয় আরেক প্রার্থী অ্যালিয়ান জুপ্পি।
অ্যালিয়ান জুপ্পি বলেছেন, প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার চাপ থাকা সত্ত্বেও তিনি নির্বাচনে লড়বেন না।
ফিলনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, নিজের স্ত্রী পেনিলোপিকে ভুয়া চাকরির জন্য পারিশ্রমিক পরিশোধ করেছিলেন তিনি। ফ্রান্সের রাজনৈতিক অঙ্গন এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ব্যাপক উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। এক বিচারক ফিলনকে ১৫ মার্চ আদালতে হাজিরের নির্দেশ দিয়েছেন।
তবে ভুয়া চাকরি কেলেঙ্কারির অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন ফিলন। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মধ্য-ডানপন্থী রিপাবলিকান দলের সমর্থন হারিয়েছেন তিনি।
অ্যালিয়ান জুপ্পিকে ফিলনের উপযুক্ত স্থলাভিষিক্ত হিসেবে দেখা হতো। কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বিদের তীব্র সমালোচনা করেছেন তিনি বলেছেন, নির্বাচনে লড়বেন না।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ে মনোনয়ন দৌড়ে দ্বিতীয় পর্যায়ের মতামত ভোটে এগিয়ে ছিলেন জুপ্পি। এদিকে, দলীয় সংকট নিয়ে আলোচনা করতে জরুরি বৈঠকে বসার ডাক দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওঁলাদ।
আগামী ২৩ এপ্রিল ফ্রান্সে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের প্রথম রাউন্ডের জন্য জনমত জরিপে তৃতীয় অবস্থানে আছেন ফিলন। এছাড়া শীর্ষে রয়েছেন কট্টর ডানপন্থি দল ন্যাশনাল ফ্রন্টের নেতা ম্যারিন ল্য পেন। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন মধ্যডানপন্থি স্বতন্ত্র প্রার্থী ইমানুয়েল ম্যাক্রন।
সূত্র: বিবিসি।