বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন তথ্য নির্ভর নয় বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
সোমবার সচিবালয়ে নিজ দফতরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, তারা ঝাপসা চোখে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে। বাংলাদেশ এ প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে।
বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতিকে যুক্তরাষ্ট্র ভুল চশমা ও ঝাপসা চোখ দিয়ে দেখছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, দু’দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকা সত্বেও তারা বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছে। অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে তাদের ঢালাও মন্তব্য করা আমরা নীতিগতভাবে সমর্থন করি না।
সম্প্রতি বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর পর্বেক্ষণ দিয়েছে। তাতে বাংলাদেশের বেশ কিছু বিষয় নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছে দেশটি।
এসব বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রকাশিত রিপোর্ট আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। কারণ তারা যে তথ্য উপস্থাপন করেছে তা ঠিক নয়। ভুল তথ্য সম্বলিত প্রতিবেদন তারা দিয়েছে। বাংলাদেশ সংবিধান অনুযায়ী পরিচালিত হয়।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তারা প্রতিবেদনে বলেছে, ‘বাংলাদেশে জঙ্গিরা গত এক বছরে তাদের তৎপরতা বাড়িয়েছে। ওই জঙ্গিদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের সম্পর্ক রয়েছে।’ -তাদের এই তথ্য ঠিক নয়। কারণ গত এক বছরে সরকার জঙ্গিদের ধরেছে, তারা এখন কোনঠাসা। আর বাংলাদেশের জঙ্গিরা এদেশের মাটিতেই জন্ম নিয়েছে, এখানেই জঙ্গি তৎপরতা চালাচ্ছে। তাদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক জঙ্গিদের কোনো সম্পর্ক নেই।’
মন্ত্রী বলেন, দেশের সামাজিক ও রাজনৈতিক অধিকার সংকুচিত হচ্ছে বলে যে তথ্য যুক্তরাষ্ট্র দিয়েছে তাও ঠিক নয়। এই তথ্য ঢালাও, যা দুঃখজনক বলেও মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, দেশে রাজনৈতিক ও সামাজিক অধিকার বিদ্যমান রয়েছে। এছাড়া অনলাইন গণমাধ্যম নিয়েও প্রতিবেদন দিয়েছে তারা। যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, বাংলাদেশে অনলাইন গণমাধ্যমের উপর প্রভাব সৃষ্টি করা হয়েছে। বেশ কিছু অনলাইন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, তাদের ওই তথ্যও ঠিক নয়। কারণ ১৮০০ অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের জন্য তথ্য অধিদফতরে আবেদন করেছে। আর জঙ্গিদের পৃষ্ঠপোষকতা ও মিথ্যাচারের কারণে ৩০ থেকে ৪০টি অনলাইন সাময়িক বন্ধ করা হয়েছে, এটা কোনো সমস্যা নয়।