তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু টেকসই উন্নয়ন ও বৈষম্যহীন সমৃদ্ধির জন্যই নারী-পুরুষের বৈষম্য দূর করতে হবে।
বাংলাদেশকে তার অভীষ্ঠ লক্ষ্যে পৌঁছাতে নারী-পুরুষের বৈষম্য দূরীকরণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের কোন বিকল্প নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ব্যাপকভাবে বিকাশমান গণমাধ্যম অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খাত, সেখানে লিঙ্গ-বৈষম্য থাকা উচিৎ নয়।
হাসানুল হক ইনু রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে ‘নারী-পুরুষের বৈষম্যহীন গণমাধ্যম চাই’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
বিশ্ব নারী দিবস (৮ মার্চ) উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাব এ আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনষ্ঠানে ‘নারী পুরুষের বৈষম্যহীন গণমাধ্যম চাই’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিনিয়র সাংবাদিক শাহনাজ মুন্নী।
তথ্যমন্ত্রী গণমাধ্যমসহ সব ধরনের কর্মক্ষেত্রে নারীবান্ধব কর্মপরিবেশ, নারী-পুরুষের সমতায়নে নীতিমালাসহ শিশু দিবা যতœ কেন্দ্র এবং নারীদের গৃহ ও কর্মক্ষেত্রের মধ্যে যাতায়াত সুবিধার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন ।
বাংলাদেশের জন্য জাতিসংঘের চুক্তি অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জন একটি বাধ্যবাধকতা- একথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এলক্ষ্য বাস্তবায়নে অন্যান্য সংস্থার ওপর নজরদারি করবে গণমাধ্যম। আর গণমাধ্যমে নারী উন্নয়নের কাজ সঠিকভাবে হচ্ছে কিনা, তা জাতীয় প্রেসক্লাবসহ সাংবাদিক সংগঠনগুলোকে নজরদারিতে রাখতে হবে।
তিনি আগামী বছরের নারী দিবসে এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন তুলে ধরার জন্য সাংবাদিক সংগঠনগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।
জঙ্গিবাদ, দারিদ্র্য ও লিঙ্গবৈষম্যের বিরুদ্ধে সরকারের শূন্যসহিষ্ণু নীতির কথা পুনর্ব্যক্ত করে মুক্তিযোদ্ধা ইনু বলেন, ‘সাম্প্রদায়িকতা, কুসংস্কার ও জঙ্গি-সন্ত্রাস নারী সমাজের সবচেয়ে বড় শত্রু, এদের পরিহারে সকলকে সজাগ থাকতে হবে।’
জাতীয় প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাইফুল আলমের সভাপতিত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. গীতি আরা নাসরিন, দৈনিক ইত্তেফাকের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক তাসমিমা হোসেন, ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, ভোরের কাগজের কূটনৈতিক প্রতিবেদক আঙ্গুর নাহার মন্টিসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের নারী প্রতিনিধিবৃন্দ সভায় বক্তব্য রাখেন।