বিশাল সাইজের কড়াইতে রান্না করা পোলাও ও মাংস। একে একে কারাবন্দিরা এগিয়ে আসছেন। তাদের বাসনে তুলে দেয়া হচ্ছে পোলাও ও মাংসের টুকরো। খাওয়ার পর আবার জর্দা, সুপারি ও চুন দিয়ে এক খিলি পান। এটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বাংলাদেশ জেলের একটি পেজে যশোর কেন্দ্রীয় কারা কর্তৃপক্ষের ঘণ্টা দুয়েক আগে পোস্ট করা কয়েকটি ছবি।
প্রাইভেসি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় কারাবন্দিদের চেহারাগুলো ইচ্ছে করেই অস্পষ্ট ও ঘোলা করে দেয়া হয়েছে। কারাসেবা সপ্তাহ ২০১৭ উপলক্ষে বিভিন্ন আয়োজনের মধ্যে কারাবন্দিদের মাঝে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়।
শুধু যশোর কারাগারই নয়, কারাসেবা সপ্তাহ উপলক্ষে দেশের প্রায় সব কারাগারেই কারা কর্মকর্তা, কর্মচারী, তাদের সন্তানাদি ও কারাবন্দিদের নিয়ে প্রীতিভোজ, ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক, চিত্রাঙ্কন ও বই পড়া প্রতিযোগিতা চলছে।
খোদ কারা অধিদফতরের কারা মহাপরিদর্শক (আইজি) বিগ্রেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন থেকে শুরু করে কারা কর্মকর্তারা তাদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড ‘বাংলাদেশ জেল’ পেজের মাধ্যমে ফেসবুকে তুলে ধরছেন।
কারা অধিদফতরের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জাগো নিউজকে বলেন, একটা সময় ছিল যখন কারাগারগুলোর ইতিবাচক কর্মকাণ্ড তুলে ধরার কোনো প্ল্যাটফর্ম ছিল না। কারা কর্মকর্তাদের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডগুলো সাধারণ মানুষের চেনা-জানার বাইরেই থেকে যেতো।
খোদ শীর্ষ কারা কর্মকর্তারাও অনেক সময় অনেক ভাল কাজের খবর জানতেন না। কিন্তু বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে ফেসবুকে ‘বাংলাদেশ জেল’ পেজ খোলার কারণে কারাগারগুলোর মধ্যে দূরত্বের ব্যবধান নেই। কারা সদর দফতর কিংবা গাজীপুরের কাশিমপুরের কারা কর্মকর্তারা যেভাবে তাদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড বাংলাদেশ জেল পেজে তুলে ধরতে পারছেন। ঠিক একইভাবে বহু দূরের কারা কর্মকর্তারাও সেকেন্ডেই কম্পিউটার, ল্যাপটপ কিংবা মোবাইল ফোনে তাদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরতে পারছেন বলে তিনি জানান।