সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের বাসায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
এরপর শুক্রবার সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় এমপি রতনের বাসার কেয়ারটেকার সৈয়দ সুজন বাদী হয়ে ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়।
পুলিশ সুপার (এসপি) হারুন অর-রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের বাসায় হামলার ঘটনায় জড়িত পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতার করতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
গ্রেফতাররা হলেন, শহরের আরপিননগর এলাকার মৃত বাবন মিয়ার ছেলে পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক ও পৌর কাউন্সিলর আবাবিল নুর, উত্তর আরপিননগর এলাকার মৃত ময়না মিয়ার ছেলে আসান মিয়া (৪২), একই এলাকার আব্দুছ ছহুরের ছেলে বশির মিয়া (৪০), হাবিব আলীর ছেলে মনির মিয়া (৩৮) এবং তেঘরিয়া এলাকার তহিফুর চৌধুরীর ছেলে বিলাল চৌধুরী (৫০)।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শহরের মল্লিকপুর এলাকায় জেলা পুলিশ লাইনের বিপরীতে অবস্থিত এমপি রতনের বাসভবনে মোটরসাইকেল মহড়া দিয়ে হামলা চালানো হয়। এসময় এমপি রতনকে হত্যাচেষ্ঠা করে হামলাকারীরা।
মামলার বিবরণে হামলাকারীরা ধারালো অস্ত্রধারী ছিল বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। হামলার সময়ে এমপি রতন বাসায় না থাকায় তাকে না পেয়ে হামলাকারীরা বাসভবনে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন বলেন, আমার সঙ্গে কারও বিরোধ নেই। বৃহস্পতিবার আমি হাওরের কৃষকের পক্ষে একটি সমাবেশে কথা বলেছিলাম। এতে ঠিকাদার সিন্ডিকেট ক্ষুব্ধ হয়ে তারা সন্ত্রাসী পাঠিয়ে আমাকে হত্যা করতে চেয়েছিল। কৃষকদের পক্ষে কথা বলতে গিয়ে যদি মারা যায় তাহলে আমার কোনও আক্ষেপ নেই।
কৃষকদের ফসলরক্ষার জন্য দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কথা বলে যাবো। ঠিকাদাররা বাধের কোনও কাজ না করার কারণে আমার এলাকার চারটি হাওরের ফসল ইতিমধ্যে তলিয়ে গেছে। গত বছরও এমনিভাবে একমাত্র বোরো ফসল হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছিলেন হাওর অঞ্চলের কৃষকরা।