ওয়েস্ট ইন্ডিজে জয়ে শুরু ইংলিশদের

ওয়েস্ট ইন্ডিজে জয়ে শুরু ইংলিশদের

অ্যান্টিগায় সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর ইংল্যান্ড মুখোমুখি হওয়ার আগে মিডিয়া গরম করে তুলেছিল বেন স্টোকস আর কার্লোস ব্র্যাথওয়েটের আরেকবার মুখোমুখি হওয়াকে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে বেন স্টোকসকে পরপর চার বলে চার ছক্কা মেরে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে শিরোপা জিতিয়েছিলেন ব্র্যাথওয়েট। সেই ঘটনার পূনরাবৃত্তি আবারও হলে দারুণ জমে উঠবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ-ইংল্যান্ড সিরিজ।

কিন্তু না তেমন কিছুই হলো না। বেন স্টোকস আর কার্লোস ব্র্যাথওয়েট মুখোমুখি হয়েছিলেন বটে; কিন্তু একা রাজত্ব করে গেলেন বেন স্টোকস। কার্লোস ব্র্যাথওয়েট পুরোপুরি নিষ্প্রভ। তার সেই ধার কিংবা তেজ কিছুই দেখা গেলো না। ব্যাট হাতে দারুণ এক হাফ সেঞ্চুরি করার পর বলই হাতে নেয়ার প্রয়োজন পড়েনি তার। অনায়াসে জিতে গেলো ইংল্যান্ড। ব্যবধান ৪৫ রানের।

অ্যান্টিগার নর্থ সাউন্ডে স্যার ভিভ রিচার্ডস স্টেডিয়ামে টস জিতে ইংল্যান্ডকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক জ্যাসন হোল্ডার। ব্যাট করতে নেমে জ্যাসন রয়ের উইকেটটা দ্রুত হারায় ইংল্যান্ড। এরপর জো রুটও আউট হয়ে যান মাত্র ৪ রান করে।

কিন্তু ওপেনার স্যাম বিলিংস আর অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যানের দারুণ জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় ইংল্যান্ড। দু’জনের ব্যাট থেকে আসে ৬৫ রানের জুটি। দলীয় ৯৬ রানের মাথায় ৫৬ বলে ৫২ রান করে আউট হন স্যাম বিলিংস। এরপর জস বাটলারকে নিয়ে ৩৩ রানের জুটি গড়েন মরগ্যান। ১৯ বলে ১৪ রান করে বাটলার আউট হয়ে গেলে বেন স্টোকসকে নিয়ে আরও একটি বড় জুটি গড়েন মরগ্যান।

স্টোকস-মরগ্যানের ব্যাট থেকে আসে ১১০ রানের মূল্যবান জুটি। এই জুটিতে ভর করেই বড় স্কোরের দিকে এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। স্টোকস ৬১ বলে ৫৫ রান করে যখন আউট হন তখন ইংল্যান্ডের রান ২৩৯। এরপরই ক্যারিয়ারের ১০ম সেঞ্চুরি তুলে নেন মরগ্যান। ১১২ বলে ১০টি বাউন্ডারি আর ২টি ছক্কায় সেঞ্চুরি পূরণ করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ইংলিশ অধিনায়ক রান আউট হয়ে গেলেন ১১৬ বলে ১০৭ রান করে।

শেষ দিকে ২২ বলে ৩১ রান করে অপরাজিত থাকেন মঈন আলি। ফলে ইংল্যান্ডের স্কোর দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ২৯৬ রান। বল হাতে কোনো উইকেটই পেলেন না কার্লোস ব্র্যাথওয়েট। ২টি করে উইকেট নেন শ্যানন গ্যাব্রিয়েল আর অ্যাশলে নার্স। ১ উইকেট নেন  দেব্রেন্দ্র বিশু।

জবাবে ২৯৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৪৭.২ ওভারে ২৫১ রানেই অলআউট হয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মিডল অর্ডারে শাই হোপ, জ্যাসন মোহাম্মেদ এবং জোনাথন কার্টারের নিদারুণ চেষ্টার পরও ৪৫ রানে হারতে হলো ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। জ্যাসন মোহাম্মেদ সর্বোচ্চ ৭২ রান করেন ৯১ বলে। ৪৭ বলে ৫২ রান করেন জোনাথন কার্টার। আর ৩৮ বলে ৩১ রান করেন শাই হোপ। ২১ রান করে করেন এভিন লুইস আর অ্যাশলে নার্স। কার্লোস ব্র্যাথওয়েট করেন ১২ বলে ১২ রান।

মূলতঃ ক্রিস ওকস আর লিয়াম প্লাঙ্কেটের দুর্ধর্ষ বোলিংয়ের মুখেই অলআউট হয়ে যায় ইংল্যান্ড। দু’জনই নেন সমান ৪টি করে উইকেট। ১ উইকেট নেন আদিল রশিদ এবং বাকিটি হলো রানআউট।

খেলাধূলা